রাত ১২ টা পর্যন্ত মিলবে লোকাল ট্রেন! বনগাঁ-রানাঘাট যাওয়ার শেষ 'গাড়ি' কটায়?
ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে এখন পরিস্থিতি। কোভিড বিধিতেও অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পুরানো নিয়মেই ফিরল এবার রেলও। সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে এখন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মিলবে লোক
ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে এখন পরিস্থিতি। কোভিড বিধিতেও অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পুরানো নিয়মেই ফিরল এবার রেলও। সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে এখন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মিলবে লোকাল ট্রেন।
আজ বুধবার থেকেই নিয়মে রদবদল করা হয়েছে। রেলের ঘোষণা অনুযায়ী এবার থেকে টাইম টেবিল মেনে রাত ১২ টা পর্যন্ত পাওয়া যাবে লোকাল ট্রেন।
করোনা বাড়তেই লোকাল ট্রেন চলাচলে বেশ কিছু রদবদল করা হয়। নবান্নের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে রাত ১০ টার পর লোকাল ট্রেন চলবে না। সেই মতো গত কয়েকমাস ধরেই রাত ১০ টা পর্যন্ত চলছিল লোকাল। কিন্তু বর্তমানে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে। প্রায় ৫০০ এর নীচে চলে এসেছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হারও।
রাজ্যের তরফে রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞাতেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রাত ১২ টা থেকে নাইট কার্ফু জারি হবে।
এই অবস্থায় বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হল রেলের তরফে। ঘোষণা অনুযায়ী এবার রাত ১২ টা তেও শেষ লোকাল পাওয়া যাবে। তবে দিনের প্রথম ট্রেন এখনও চলবে ভোর পাঁচটার পর থেকেই। এমনটাই রেলের তরফে জানানো হয়েছে। যেহেতু কার্ফু এখনও পাঁচটা পর্যন্ত বহাল রয়েছে। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত জারি রাখা হচ্ছে রেলের তরফে। তবে করোনা সংক্রমণ কমতেই যে ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে রেল ফিরতে চলেছে তা এদিনের নির্দেশিকাতেই স্পষ্ট।
এই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রেলের পুরানো যে টাইম টেবিল রয়েছে সেই মতো লোকাল ট্রেনগুলি চলবে। যেমন শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল আজ বুধবার থেকেই ছাড়বে রাত 11টা 40 মিনিটে। যেটি প্রায় দেড়টা নাগাদ বনগাঁ পৌঁছাবে। শিয়ালদা-রানাঘাট লোকালও ছাড়বে রাত ১১টা বেজে ৪০ মিনিটে। অর্থাৎ যে ট্রেন যেমন সময় রয়েছেই তাই ছাড়বে। একই ভাবে হাওড়া থেকেই রাতের লোকাল যে সময়ে ছাড়ার কথা বলা হয়েছে তাতেই ছাড়বে।
উল্লেখ্য, ভারতে ক্রমে কোভিড -১৯ কেস নিম্নগামী হচ্ছে এবং ওমিক্রনের প্রভাব কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র বুধবার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তাদের অঞ্চলে ইতিবাচকতার হার বিবেচনা করার পরে অতিরিক্ত বিধিনিষেধগুলি পর্যালোচনা, সংশোধন বা দূর করতে বলেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ, সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিবদের কাছে একটি চিঠিতে বলেছেন, ২১ জানুয়ারি থেকে ভারতে কোভিড -১৯ মহামারী ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এই অবস্থায় কোভিড বিধিকে বেশ কিছু ছাড়ের কথা বলা হয়েছে।