লৌহপুরুষ আডবাণী আশ্চর্য নীরব সংসদে! পাঁচ বছরে প্রতি পাঁচদিনে মুখে এনেছেন একটি মাত্র শব্দ
একদা বিজেপির দ্বিতীয় কম্যান্ড, কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীকেও ছাপিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া লালকৃষ্ণ আডবাণী এখন যেন পুরোপুরি চুপ মেরে গিয়েছেন।
একদা বিজেপির দ্বিতীয় কম্যান্ড, কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ীকেও ছাপিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া লালকৃষ্ণ আডবাণী এখন যেন পুরোপুরি চুপ মেরে গিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী জমানায় তিনি বলা যায় একেবারে বাকরুদ্ধ। একসময়ে যে মানুষটিকে সামনে রেখে বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি আন্দোলন চালিয়েছে বিজেপি, গত পাঁচ বছরে মোদী জমানায় তিনি আশ্চর্য রকমের নীরব হয়ে গিয়েছেন।
মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বে ইউপিএ জমানাতেও বিজেপির হয়ে লালকৃষ্ণ আডবাণীই সওয়াল করে গিয়েছেন। তিনিই ছিলেন সংসদে বিজেপির প্রধান মুখ। তিনি যখনই মুখ খুলেছেন বিতর্ক হয়েছে সংসদের ভিতরে ও বাইরে। আর এখন তাঁর নীরবতাও এক অন্য আলোচনার অবতারণা করেছে।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে সংসদে লালকৃষ্ণ আডবাণী মাত্র ৩৬৫টি শব্দ উচ্চারণ করেছেন। মোদী সরকারের আমলে একেরপর এক ঐতিহাসিক তথা বিতর্কিত বিল পেশ হয়েছে এবং তা সংসদে পাশ হয়েছে। তা সত্ত্বেও আডবাণীকে তার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনওদিন মুখ খুলতে দেখা যায়নি।
সবচেয়ে বড় কথা এই ৩৬৫টি শব্দই আডবাণী ২০১৪ সালে বলেছেন। তারপরে গত প্রায় চার বছরে একটিও শব্দ উচ্চারণ করেননি। তবে সংসদে তাঁর উপস্থিতির হার লজ্জায় ফেলে দেবে নবীন সাংসদদেরও। নবতিপর আডবাণী ৯২ শতাংশ দিন সংসদে উপস্থিত থেকেছেন বলে রেজিস্টার বলছে। তারপরও এমন আশ্চর্য নীরবতা, তাও আবার এমন একজন নেতার, তা যে অস্বাভাবিক তা বলা মোটেও অত্যুক্তি হবে না। বয়স একটা কারণ তো বটেই, তবে শুধুই বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে লৌহপুরুষ সংসদে বাকরুদ্ধ হয়েছেন তা হয়ত বলা যাবে না। পিছনে আর কী কারণ রয়েছে তা হয়ত তিনিই বলতে পারবেন।