বিহারের নীতীশের নেতৃত্ব নিয়ে 'প্রশ্ন'! সম্ভাব্য কত আসনে প্রার্থী, কার্যত ঘোষণা এলজেপির
বিহারের নীতীশের নেতৃত্ব নিয়ে 'প্রশ্ন'! সম্ভাব্য কত আসনে প্রার্থী, কার্যত ঘোষণা এলজেপির
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে কি এনডিএ জোট ভাঙছে, এলজেপির পদক্ষেপে এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে। সোমবার এলজেপি ঠিক করেছে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৩ জন প্রাথীর নাম দেওয়া হবে। তবে এব্যাপারে দলের জাতীয় সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানা গিয়েছে। জেডিইউ নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই নির্বাচনে লড়াই করা হবে কিনা, তারও সিদ্ধান্ত চিরগাই নেবেন।
নীতীশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ চিরাগের
নীতীশ কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় এলজেপির প্রেসিডেন্ট চিরাগ পাসোয়ানের। একবছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের মধ্যে কোনও কথাই হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। যার জেরেই এলজেপির বিহারের সংসদীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
সপ্তাহ শেষে বৈঠক হতে পারে
সোমবার এলজেপির বৈঠকের সময়ই বিজেপির এক জাতীয় নেতার ফোন আসে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে এই সপ্তাহের শেষের দিকে জেডিইউ এবং এলজেপির মধ্যে বৈঠকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। বিহারের এক সিনিয়র বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, তারা চাইছেন এলজেপি জোটের মধ্যে থেকেই লড়াই করুক। কেননা এলজেপি যদি আলাদা লড়াই করে তাহলে তা জোটের ক্ষতি করবে।
বিজেপির সঙ্গে জোটে না নেই এলজেপির
জেডিইউ-এর ওপর আক্রমণ করলেও বিজেপির প্রতি নরম এলজেপি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসাও করেছে তারা। জাতীয় পর্যায়ে বিজেপির প্রতি আনুগত্যও প্রকাশ করেছে তারা। তবে বিহারে তারা একা লড়াই করবে কিনা সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে দলের কেন্দ্রীয় সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে। সেখানে থাকবে এলজেপির সাংসদরাও।
এর আগে পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন নিয়ে জল্পনা
এর আগে এলজেপির চিরাগ পাসোয়ানের পাতা জোড়া বিজ্ঞাপন নিয়ে জল্পনা ছড়ায় বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল বিহার ফাস্ট, বিহারী ফাস্ট। একইসঙ্গে বলা হয়েছিল, তারা লড়াই করছে আমাদের ওপর শাসন করতে। আর আমি বিহারের গর্ব ফেরাতে চাই। বলা হয়েছে সেই বিজ্ঞাপনে। এই বিজ্ঞাপনকে অনেকেই পর্দার পিছন থেকে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ওপর আক্রমণ বলেই মনে করছেন। বিহারে এনডিএ-র শরিক হলেও এলজেপি সরকারে যায়নি।
চিরাগকে কালিদাস বলা নিয়ে ক্ষিপ্ত এলজেপি
এর আগে জেডিইউ-এর তরফে চিরাগ পাসোয়ানকে কালিদাস বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষিপ্ত এলজেপি । তারা বলছে বিহারের ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাঁকে বিক্ষুব্ধ তকমা দেওয়া হচ্ছে।
লাদাখ নিয়ে রাজনাথ এবার ময়দানে! দিল্লির বৈঠকের জল্পনার মধ্যেই পার্বত্য সীমান্তে যুদ্ধবিমান