মারণ গেম মোমোর সঙ্গে লাইভ চ্যাট ফেসবুক ইউজারের, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই চ্যাট
নম্বরটা +১(৭৮৬)৭৪৯-৮০৩৯। এই নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যয়াপ-এ ভেসে এলে ছোট্ট একটি শব্দ 'হাই'। সঙ্গেএক কিম্ভুতকিমাকার ভয়াল দর্শনের একটি মুখ। এরপর শুরু হল মারণগেম মোমোর সঙ্গে লাইভ চ্যাট।
নম্বরটা +১(৭৮৬)৭৪৯-৮০৩৯। এই নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যয়াপ-এ ভেসে এলে ছোট্ট একটি শব্দ 'হাই'। সঙ্গেএক কিম্ভুতকিমাকার ভয়াল দর্শনের একটি মুখ। এরপর শুরু হল মারণগেম মোমোর সঙ্গে লাইভ চ্যাট। এই পুরো লাইভ চ্যাটটি ফেসবুকে আপলোড করেন রাজকুমার নামে এক ব্যক্তি। বাস্তবে তাঁর সত্যিকারের লোকেশন কোথায় জানা না গেলেও ফেসবুকে লেখা রয়েছে মুম্বই।
রাজকুমার-ই মোমো মারণ গেমের চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন। আর এই ঘটনা পুরোটাই রেকর্ড করে রেখেছিলেন তিনি। সেখানেই ধরা পড়েছে রাজকুমার ও মোমো-র মধ্যে কথোপকথন। তবে কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ-এ মোমো-র রিকোয়েস্ট এল তা নিয়ে কিছু জানাননি রাজকুমার। মনে করা হচ্ছে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ-এ যে মোমোর রিকোয়েস্ট এসেছে তা আগে থেকেই জানা ছিল তাঁর।
কথোপকথন শুরু হতেই মোমো-কে পাল্টা 'হাই' লিখে পাঠান রাজকুমার। সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে উত্তর, 'লেটস প্লে আ গেম'। মোমো-র নম্বর থেকে আরও জানানো হয় এই খেলার নাম 'মোমো চ্যালেঞ্জ'। 'ইট ইজ সো এক্সাইটিং', 'ইউ হ্যাভ টু রিপ্লাই মি নাউ'- এমন সব উত্তরও ভেসে আসে।
রাজকুমার পাল্টা লিখে পাঠান 'হু আরও ইউ'। মোমো-র নম্বর থেকে উত্তর আসে 'আই অ্যাম ইউর ফ্রেন্ড'। রাজকুমার লিখে পাঠান 'আই ডোন্ট নো ইউ'। মোমো- থেকে ফের লাইভ চ্যাটে উত্তর- 'ওকে, লেটস প্লে আ গেম ফার্স্ট, সো উই ক্যান বি ফ্রেন্ডস ফরএভার'। রাজকুমার উত্তর দেন 'ওকে'।
মোমো নম্বর থেকে রাজকুমারকে জানানো হয়- 'আই অ্যাকসেপ্ট দ্য মোমো চ্যালেঞ্জ'- এই বাক্যটি লিখতে হবে। রাজকুমারের উত্তর 'ওকে'। তিনি সঙ্গে সঙ্গে লিখে দেন 'আই অ্যাকসেপ্ট দ্য মোমো চ্যালেঞ্জ'। এরপর মোমো-র টাস্ক ছিল তিনবার মোমো নামটি হোয়াটসঅ্যাপ-এ লেখার। রাজকুমার জানানা তিনি তা করে দিয়েছেন। এরপর রাজকুমারকে দেওয়া মোমোর পরের টাস্ক ছিল রাত ১২টায় 'মোমো আই লাভ ইউ' বাক্যটা ১২বার লেখার। মোমো নামটা হাতের তালুতে লিখে তার ছবি তুলেও হোয়াটসঅ্য়াপ-এ আপলোড করতে বলা হয় রাজকুমারকে।
মোমোর ছবি-র দিকে ১০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকারও টাস্ক দেওয়া হয় রাজকুমারকে। এরপর মোমো-র ছবি রাজকুমারের ফোনের গ্যালারিতে সেভ করে রাখার টাস্ক দেওয়া হয়। মোমোর এবারের চ্যালেঞ্জটা ছিল মারাত্মক। কারণ, রাজকুমারকে হাত কেটে 'মোমো' নামটি লিখতে বলা হয়। এই টাস্ক সম্পূর্ণ করতে অস্বীকার করেন তিনি। পরিষ্কার জানিয়ে দেন এই টাস্ক করলে তিনি মরে যাবেন, তাই করবেন না। মোমো স্মরণ করিয়ে দেয় যে রাজকুমার টাস্ক সম্পূর্ণ করতে না চেয়ে চ্য়ালেঞ্জ অস্বীকার করছেন। এটা গেমেন নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু, রাজকুমার সাফ জানিয়ে দেন তিনি কোনওভাবেই হাত কেটে মোমো-র নাম লিখবেন না। এখানেই শেষ হয়ে গিয়েছে মোমো চ্য়ালেঞ্জ গেমের লাইভ চ্যাট।
(ডিসক্লেমার- এই লাইভ চ্যাটে যে নম্বর থেকে মোমো উত্তর দিয়েছে তা আদতে মারণ গেমের কি না তা তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার। রাজকুমার ফেসবুকে যে দাবি করেছেন তার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে।)