চিকিৎসাক্ষেত্রে গাঁজাকে কি বৈধ ঘোষণা করা উচিত, উঠল বিতর্ক, বিভিন্ন দেশে বৈধ গাঁজা
চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজাকে বৈধ ঘোষণা করার প্রস্তাব মানেকা গান্ধীর। দেখে নিন কোন কোন দেশে গাঁজাকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ।
গাঁজার বিক্রিকে কি আইনের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। এই বিতর্ক দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি এই বিতর্ককে ফের খুঁচিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। চিকিৎসার জন্য গাঁজাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। এদেশে গাঁজার বিক্রি বা সেবন নিষিদ্ধ হলেও বহু দেশেই কিন্তু গাঁজা বৈধ। বেশ কিছু দেশে অবাধে গাঁজার ব্যবহার হয় আবার কয়েকটি দেশ এমনও আছে যেখানে গাঁজাকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হয় ।
[আরও পড়ুন: এই দেশে ফুসফুসের ক্যানসারের প্রতিষেধক আবিষ্কার, তালিকায় আর কী কী, বিস্তারিত জেনে নিন]
এক নজরে দেশে নেওয়া যাক কোন কোন দেশে গাঁজাকে আইনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
কলম্বিয়া - ২০১২ সালেই এই দেশে গাঁজা সঙ্গে রাখাকে অপরাধমূলক নয় বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালে চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গাঁজাকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
আর্জেন্টিনা- চলতি বছরের মার্চ মাসে গাঁজাকে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে আর্জেন্টিনায়
ফ্রান্স- গাঁজা বা ভাঙের মত মাদক আছে এমন ওষুধের বিক্রি ফ্রান্সে বৈধ।
রোমানিয়া- রোগীর যন্ত্রণা লাঘব করতে কোনও ওষুধে যদি গাঁজা থাকে তাহলে সেই ওষুধ কেনা- বেচায় কোনও বিধিনিষেধ নেই রোমানিয়ায়।
চেক প্রজাতন্ত্র- ২০১৩ সাল থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজার ব্যবহার বৈধ। তবে নেদারল্যান্ডস থেকে গাঁজা আমদানি করতে একটি বিশেষ ই- প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন।
ফিনল্যান্ড- ২০০৮ সালেই গাঁজাকে বৈধ বলে ঘোষণা ফিনল্যান্ডে। তবে প্রথাগত ওষুধে কাজ না হলে তবেই চিকিৎসকেরা গাঁজা মিশ্রিত ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করতে পারেন।
চিলি- ২০০৫ সালেই চিলিতে আইনের স্বীকৃতি দেওয়ার হয় গাঁজাকে।
অস্ট্রেলিয়া- ২০১৬ সালে সেদেশের পার্লামেন্টে বিশেষ বিল পাশ করিয়ে বৈধ ঘোষণা করা হয় গাঁজাকে ।
ক্রোয়েশিয়া- এইডস বা ক্যানসারের মত মারণরোগের ক্ষেত্রে রোগীর কষ্ট লাঘব করতে গাঁজার ডোজ দেওয়া হয়।
জামাইকা- ২০১৫ সালেই বৈধ ঘোষণা, তবে শুধুমাত্র চিকিৎসা ও গবেষণার জন্যই ব্যবহার হতে পারে গাঁজা।
[আরও পড়ুন: এইডস নির্মূলে নতুন গবেষণা, গরুর দেহ থেকে তৈরি হতে চলেছে এইচআইভি প্রতিষেধক]