উলু দিয়ে, ফুল ছিটিয়ে খুলল মদের দোকান, উল্লসিত জনতা
উলু দিয়ে, ফুল ছিটিয়ে খুলল মদের দোকান উল্লসিত জনতা
তৃতীয় মেয়াদে লকডাউনের কড়াকড়ি একটু শিথিল করতে সারা দেশে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে দেশজুড়ে মদের দোকান খুলে যাওয়ায় খুশি মদপ্রেমীরা। তারা আধ্যাত্মিকভাবে কর্নাটকের বেশ কিছু এলাকায় মদের দোকান খোলাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এ রাজ্যের অনেক জায়গাতেই ভোর তিনটে থেকে মদের দোকানের বাইরে লাইন দিয়েছিল মানুষ, আবার কিছু মাতাল মদের দোকান খোলায় আরতি ও ফুল দিয়ে সেখানে পুজো দেয় ও প্রার্থনা করে।
বিশেষ পুজো, প্রার্থনা
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২৫ মার্চ থেকে মদের দোকানগুলি বন্ধ করে রাখা ছিল। সোমবার দোকান খোলার আগেই কর্নাটকের বেশ কিছু এলাকায় মানুষ ভিড় জমান এবং তাঁরা যে বিশাল খুশি তা তাঁদের উদযাপন করা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। রাজ্যের কিছু অংশে দোকান খোলার একদিন আগেই মানুষ ভিড় জমান এবং ফুল, নারকেল, ধূপকাঠি, কর্পূর জ্বালিয়ে পুজো করেন এবং দোকানের সামনে বাজিও ফাটান। কিছু জায়গায় ভোর তিনটে থেকে লাইন পড়ে যায়। মানুষ ছাতা, বর্ষাতি, খবরের কাগজ ও বই নিয়ে আসেন।
বাজি ফাটে মদের দোকানের সামনে
হাসানের সালেগাম রোডের একটি মদের দোকানে মদপ্রেমীরা ঐতিহ্যগত প্রদীপ ও ধূপকাঠি জ্বালিয়ে কর্পূর দিয়ে আরতি করেন এবং গাঁদা ফুল দিয়ে পুরো দোকান সাজানো হয়। হাত জোড় করে মানুষ বিশেষ প্রার্থনাও করেন। মান্ডায় মদপ্রেমিরা মারতাণ্ডা মদের দোকান খোলার আগেই সেখানে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিল। একঘণ্টা পরই বিক্রি শুরু হয়ে যায়, মানুষ আনন্দে বাজি ফাটাতে শুরু করে দেয়।
মদ কিনতে আসেন ৯৬ বছরের বৃদ্ধা
বেলাগাভিতে কিছু মদপ্রেমিরা উদ্যোগী হয়ে ওঠেন। রবিবার রাতে তাঁরা ওই মদের দোকানে চলে যান এবং বিশেষ পুজো সারার পর নিজেদের প্রতিনিধি হিসাবে চপ্পল, ব্যাগ ও পাথর সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে রাখেন লাইনে, যাতে তাঁদের সকালে দীর্ঘ লাইনে না দাঁড়াতে হয়। শিভামোগ্গাতে এক বয়স্ক মহিলা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ৯৬ বছরের বৃদ্ধার ঝুঁকে গিয়েছেন কিন্তু তাঁর দৃড়তা ঝোঁকেনি। তিনি কোথা থেকে শুনেছিলেন মদ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তাই তিনিও চলে আসেন মদের লাইনে দাঁড়াতে। উপকূলবর্তী জেলা উদুপির তালুক সদর শহরে মদের দোকানের লাইন অর্ধ কিমি ছাড়িয়ে যায়। মারিয়াপ্পাআনা, পালিয়ান্দ কে আর পুরম সহ বেঙ্গালুরুর বহু শহরেই মদের দোকানে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।