স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিল্লির এই মন্দিরে মদ বিলির অভিযোগ
দিল্লির বিখ্যাত ভৈরো মন্দিরে দেবতার উদ্দেশে আর মদ নিবেদন করা যাবে না। প্রশাসনের তরফে এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কারণেই এই বন্দোবস্ত বলে জানানো হয়েছে।
দিল্লির বিখ্যাত ভৈরো মন্দিরে দেবতার উদ্দেশে আর মদ নিবেদন করা যাবে না। প্রশাসনের তরফে এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কারণেই এই বন্দোবস্ত বলে জানানো হয়েছে। যদিও মন্দির এলাকায় নির্দেশের কোনও পরিচয়ই পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
দিল্লির পুরনো কেল্লার কাছে প্রাচীন ভৈরো মন্দির। এই মন্দিরের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল দেবতাকে মদ নিবেদন করা হয়। স্থানীয় কিংবা বিদেশি, বিয়ার, ব্র্যান্ডি, স্কচ, হুইস্কি লর্ড ভৈরবকে নিবেদন করা হয়। পরে সেই মদই প্রসাদ হিসেবে পূণ্যার্থীদের বিতরণ করা হয়। এখান থেকেই সমস্যার শুরু।
মন্দিরের
আশপাশ
এলাকায়
ভিক্ষুক
এমন
কী
বাচ্চাদেরও
মদ্যপ
অবস্থায়
ঘুরতে
দেখা
যায়।
ঘটনাটি
এলাকায়
নিরাপত্তার
পক্ষে
বিপদজ্জনক।
বিশেষ
করে
মহিলাদের
ক্ষেত্রে।
শনিবার
এবং
রবিবারে
এই
সমস্যা
আরও
বেশি
দেখা
দেয়
কেননা,
এই
দুই
দিন
বেশি
সংখ্যায়
পূণ্যার্থীরা
মন্দিরে
যান।
মন্দির
প্রাঙ্গন
বোতল
আর
মদের
পেটিতে
পরিপূর্ণ
থাকে।
বিষয়টি
নিয়ে
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে
অভিযোগ
জানিয়েছিলেন,
সামাজিক
ছবির
নির্মাতা
উল্লাস
পিআর।
অভিযোগে উল্লাস পিআর বলেছেন, প্রগতি ময়দানের কাছে ভৈরো মন্দিরের কাছেই মদ বিলি করা হয়। পূণ্যার্থীদের খোলাখুলিভাবেই সেখানে থাকা মানুষজনকে মদ বিলি করেন। সব থেকে ক্ষতিকর ছবি হল, সেখানে থাকা শিশুরাও এই মদের জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, মন্দিরের বাইরে কিংবা ভিতরে মদ বিলির কোনও অভিযোগ পেলেই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মন্দির চত্বরে সতর্কতা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও, পরিস্থিতি আগের মতোই। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই কাজ চলছে। একদিকে যেমন দেবতার উদ্দেশে মদ নিবেদন করা হয়, অন্যদিকে পূণ্যার্থীদেরও মদ বিতরণ করার কাজ চলছেই। তাঁরা জানিয়েছেন, যে কেউ মন্দিরের সামনে গেলেই দেখতে পাবেন, গ্লাস হাতে ভিক্ষুকরা বসে রয়েছেন।
কথিত আছে এখানকার দেবতা মদ খুব পছন্দ করেন। সেই রীতি এখনও চালু রয়েছে। পূণ্যার্থীরা দেবতার উদ্দেশে মদ নিবেদন করার পর বোতলে থাকা বাকি মদ তিনি বাড়ি নিয়ে যান, কিংবা মন্দিরের পূজারীদের দান করে যান।