'দোষী সাব্যস্ত রাজনেতাদের আজীবন নির্বাসন', কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট
নয়াদিল্লি, ১৫ সেপ্টেম্বর : এক জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে নানা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত রাজনৈতিক নেতাদের আজীবন ব্যান করার বিষয়ে মতামত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। [নির্ভয়া কাণ্ড : 'পুরো ঘটনাই পরিকল্পনা করেছিল এক রাজনৈতিক নেতা ও নির্ভয়ার প্রেমিক'!]
এখনও কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বা সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনে লড়ে ও অনায়াসে জিতে ক্ষমতার মসনদ দখল করে। অথচ একই অপরাধ করলে সরকারি আমলা ও আইনের কারবারিরা পরে আর নিজেদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারেন না। এই দ্বিচারিতার বিরোধিতা করেই সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে। [ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ হবে? আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে!]
সংসদের নেতাদের মধ্যে অন্তত ৩৪ শতাংশের বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধের মামলা ঝুলছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, খুন, খুনের চেষ্টা, লুঠ, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। [স্ত্রীর অকালমৃত্যু হলে সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে না স্বামীর : সুপ্রিম কোর্ট]
এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কুরিয়েন যোসেফ ও আরএফ নরিম্যানের কাছে মামলা উঠলে তাঁরা এই বিষয়ে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনের মতামত চেয়েছেন। [এফআইআর দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে, সব রাজ্যকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র অশ্বিনী কুমার। রাজনীতির অপরাধকরণ ও বাড়তে থাকা দুর্নীতি নিয়ে দুশ্চিতা প্রকাশ করেই এই মামলা দায়ের হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, কোনও জায়গায় কারও আটকানোর ক্ষমতা নেই বলে, রাজনীতিতে হুহু করে বেনোজলের মতো করে দুর্বৃত্ত ও অপরাধীরা ঢুকে পড়ছে।
সরকারি পদের কোনও আধিকারিক বা আমলা অথবা আইনের সঙ্গে জড়িতরা যদি ফৌজদারী অপরাধে জড়িত পড়েন তাহলে তৎক্ষণাৎ পদ খোয়াতে হয়। অথচ রাজনৈতিক নেতারা একই অপরাধ করে দেশ চালাচ্ছেন। এই ঘটনারই নিষ্পত্তি চেয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।