ফুলন দেবী খুনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শের সিং রানার
চম্বলের ডাকাতরাণী ফুলন দেবীর নাম শুনলেই আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যেত সেখানকার লোকজনের। সেই ফুলন দেবী আত্মসমর্পণের পর লোকসভায় সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের ২৫ জুলাই দিল্লিতে ফুলন দেবীর বাড়ির সামনে তাঁকে গুলি করে খুন করে শের সিং রানা। বেহমাই গণহত্যার বদলা নিতেই এই খুন করা হয় বলে পরবর্তী সময়ে পুলিশকে জানিয়েছিল মূল অপরাধী শের সিং রানা।
শের সিং রানার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি)-র ৩০২ ধারায় (খুন) মামলা রুজু করা হয়। দীর্ঘ বিচারপর্ব চলাকালীন তার আইনজীবী বারবার আদালতে এই যুক্তি দেন যে, বয়স অল্প হওয়ায় মাথা গরম করে সে এই খুন করে ফেলেছে। তার অতীতে খুনের রেকর্ড নেই। তাই আদালত তাকে মার্জনা করুক। সরকারি আইনজীবীর যুক্তি ছিল, খুন খুনই। কোনও ছেঁদো যুক্তি দিয়ে একে লঘু করা ঠিক নয়। যদি ফুলন দেবীর বিরুদ্ধে তার কোনও অভিযোগ থাকত, তা হলে সে পুলিশের দ্বারস্থ হতে পারত। আদালতের কাছে বিচার চাইতে পারত। তা না করে নিজে হাতে আইন তুলে নিয়েছে। এমন একজনকে মার্জনা করলে সমাজের কাজে ভুল বার্তা যাবে। সরকারি আইনজীবীর যুক্তির সঙ্গে একমত হন বিচারক। এ দিন তিনি শের সিং রানাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেন।
প্রসঙ্গত, এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এর আগে আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাদের সবাই ইতিমধ্যে বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছে।