যারা হিন্দু উৎসবে পাথর ছুঁড়ে বাধা দিচ্ছে তারা পাকিস্তানে চলে যাক, সাধ্বী প্রজ্ঞা
ভারতীয় জনতা পার্টির নেত্রী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ওরফে সাধ্বী প্রজ্ঞা সোমবার রাম নবমী এবং হনুমান জয়ন্তীতে হওয়া হিংসা নিয়ে এবার তোপ দাগলেন৷ তিনি বলেছেন, যারা হিন্দু উৎসবে পাথর ছোঁড়ে তারা স্বাধীনতার পরে ধর্মের ভিত্তিতে একটি দেশ পেয়েছে এবং তারা সেখানে যেতে পারে। বিজেপিনসাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর বলেছেন, 'স্বাধীন ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে তাদের জন্য একটি দেশ করা হয়েছে, তাহলে সেখানে যান। এদেশে হিন্দুদের উপাসনার স্বাধীনতা আছে, এর জন্য আমরা সবকিছু করতে পারি।' ভোপালের সাংসদ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এরকম মন্তব্য করেছেন।
এর আগে হিজাব বিতর্কের সময় তিনি বলেছিলেন যে মাদ্রাসা ছাড়া অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাথায় স্কার্ফ বা হিজাব পরা হলে তা সহ্য করা হবে না! সে সময় সাধ্বীর বক্তব্য ছিল, আপনাদের মাদ্রাসা আছে। আপনি যদি সেখানে হিজাব পরেন বা চুলের রঙ লাগান তবে আমাদের কিছু করার নেই। আপনি সেখানে প্রয়োজনীয় পোশাক পরুন এবং তাদের শৃঙ্খলা অনুসরণ করুন। কিন্তু আপনি যদি দেশের স্কুল-কলেজের জ্ঞান ও শৃঙ্খলাকে বিকৃত করেন এবং হিজাব পরা এবং খিজাব লাগানো শুরু করেন তবে তা বরদাস্ত করা হবে না।
সাধ্বী প্রজ্ঞা আরও বলেছিলেন, হিন্দু বাড়ির ছাত্ররা যখন অন্য স্কুলে যায়, তখন তারা স্কুল ইউনিফর্ম পরে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা মেনে চলে। রবিদাস জয়ন্তী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে সাধ্বী এদিন বলেন, যারা নিজেদের বাড়িতে নিরাপদ নয় তাদের হিজাব পরতে হবে। বাইরে যেখানেই 'হিন্দু সমাজ' আছে, সেখানে তারা নিরাপদ এবং তাদের হিজাব পরার কোনও প্রয়োজন নেই।
বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের এই 'পাকিস্তান' চলে যাক মন্তব্য নতুন নয়।লোকসভা সাংসদ অতীতে তার বক্তব্যে বেশ কয়েকবার বিতর্ক তৈরি করেছেন। এর আগে ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায়ও তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। যদিও বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচন লড়ে সাংসদ হয়েছেন সাধ্বী৷ তবে তার আগেই তিনি আদালতে নির্দোষ প্রমানিত হয়েছেন। সাংসদ হয়ে কখনও মহাত্মা গান্ধীকে আক্রমণ করে গডসের প্রশংসা আবার কখনও সরাসরি হিন্দুদের অস্ত্র হাতে নেওয়ার ডাক দিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন সাধ্বী। বলা যেতে পারে সেই বিতর্কের মুকুটেই নতুন পালক যোগ করলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা!