চাপের মুখে একবছর পরই প্রত্যাহার করা হবে কৃষি আইন? রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যে জোর জল্পনা
নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনে উত্তপ্ত দেশ। এর মধ্যেই আজ পিএম কিষান সম্মান নিধির পরবর্তী কিস্তির বরাদ্দ ১৮ হাজার কোটি টাকার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার এই আবহেই এবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আবেদন জানান, একবছর এই কৃষি আইনগুলিকে লাগু থাকতে দিন। দেখুন, তারপর এটার বিরোধিতা করুন যদি ভালো না হয়।

ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে
এদিন রাজনাথ সিং বলেন, 'ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে কথা দিয়েছেন যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কোনও ভাবেই তুলে দেওয়া হবে না। এক বছর দেখুন। যদি তাতে কৃষকরা লাভবান না হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। কখনওই কৃষকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করা হবে না।'

প্রধানমন্ত্রী মোদী কৃষকদের কোনও ক্ষতি হতে দেবেন না
এর আগে দুইদিন আগেই কিষাণ দিবসেও কৃষি আইন নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজনীথ সিং। একটি বার্তায় রাজনাথ দাবি করেন, 'কয়েকজন কৃষক নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। সরকার পুরো সংবেদনশীলতার সঙ্গে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা আন্দোলন তুলে নেবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী কৃষকদের কোনও ক্ষতি হতে দেবেন না।'

কৃষকরা বিরোধীদের কথায় ভুল বুঝছে
মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের আন্দোলন চলছে। সরাসরি না বললেও ওই বিক্ষোভের প্রসঙ্গ এদিন এসেছে মোদীর ভাষণে। তাঁর মতে, পাঞ্জাবের কৃষকদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। কৃষকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। কৃষকরা বিরোধীদের কথায় ভুল বুঝছে বলেও মোদীর অভিযোগ।

মমতার বিরুদ্ধে মোদীর অভিযোগ
এদিকে এদিন মোদীর গলায় মমতার বিরুদ্ধে ঝাঁঝ শোনা গেল। মোদীর অভিযোগ, বাংলার কৃষকদের দুর্দশার কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ কৃষক বিরোধী। রাজনৈতিক কারণে বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পাচ্ছেন না। পাশাপাশি বাংলার কৃষকদের প্রতি বঞ্চনা নিয়ে কেন কোনও আন্দোলন হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, বাংলার কৃষকদের টাকা পাইয়ে দিতে সমস্যা হচ্ছে। অথচ পাঞ্জাবে যাওয়ার সময় রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প লাগু হয়নি
এদিন মোদী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধিতে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্প লাগু হয়নি। বিজেপির দাবি, এই রাজ্য থেকে কৃষকদের তালিকা না যাওয়ায় বাংলার চাষিরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারছেন না।'
