উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ হিমবাহ ধস থেকে শিক্ষা, চওড়া করা হচ্ছে ঋষিগঙ্গা হ্রদের মুখ
উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ হিমবাহ ধস থেকে শিক্ষা, চওড়া করা হচ্ছে ঋষিগঙ্গা হ্রদের মুখ
চলতি মাসের শুরুতেই উত্তরাখণ্ডের তপোবন ও ধৌলিগঙ্গা লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে হড়পা বানের রোষে। হিমবাহের টুকরো ভেঙে এসে যে হ্রদ তৈরি হয়েছে, তাকেই এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে দায়ী করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে উত্তরাখন্ড সরকারের। ৩০ জনের বিশেষ বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে ঋষিগঙ্গা হ্রদের মুখ প্রায় ১৫ ফুট চওড়া করা হল বলে খবর সূত্রের।
হ্রদে জল জমতে না দেওয়ার পরিকল্পনা
উত্তরাখণ্ডে হড়পা বানের ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১৫দিন। এই সময়ের মধ্যেই রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা দলের (এসডিআরএফ) কাজে অভিভূত সকলে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৬৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, নিখোঁজ প্রায় ১৩৬ জন। ভবিষ্যতে যাতে এহেন হড়পা বানের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ঋষিগঙ্গা হ্রদের মুখ ১৫ ফুট চওড়া করার কথা জানান এসডিআরএফ প্রধান নভনিত ভুল্লার।
নয়া পদক্ষেপ উত্তরাখণ্ড সরকারের
বিশেষজ্ঞ সূত্রের খবর, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ঋষিগঙ্গা হ্রদে মাত্রাতিরিক্ত জল জমার কারণে হ্রদ বিস্ফোরণের মত ঘটনা ঘটে, যার ফলে এহেন হড়পা বানের সৃষ্টি। এসডিআরএফ প্রধান নভনীলের বক্তব্য, "চামোলি জেলায় যা হয়েছে, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য ৩০ জন বিশেষজ্ঞ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে হ্রদের মুখ প্রায় ১৫ ফুট চওড়া করেছেন।" হ্রদের মুখ যে আরও চওড়া করার পরিকল্পনা রয়েছে, তাও জানান নভনীল।
পায়ে হেঁটে অকুস্থলে বিশেষজ্ঞরা
হড়পা বানে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে রাইনি গ্রাম পঞ্চায়েত লাগোয়া রাস্তা, উত্তরাখন্ড সরকার সূত্রে খবর এমনটাই। পাশাপাশি বান ও ভূমিধ্বসের জোড়া তান্ডবে চারিদিকে জমে রয়েছে মাটির ধ্বংসস্তূপ। স্বাভাবিকভাবেই এহেন দুর্গম স্থানে বিশেষজ্ঞরা পৌঁছেছেন পায়ে হেঁটে। সূত্রের খবর, বিশেষ পর্বতারোহী ও এসডিআরএফ সেনাদের তত্ত্বাবধানে পরিদর্শনে বেরোন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার উদ্ধার হওয়া ১৪টি দেহই পাওয়া গেছে তপোবনের এনটিসি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুড়ঙ্গ থেকে।
শনিবার থেকেই হ্রদ পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ দল
উত্তরাখন্ড সূত্রে খবর, সাম্প্রতিক বান ও ভূমিধ্বসের ঘটনার পর শনিবার প্যাং গ্রামে হ্রদ পরিদর্শনে পৌঁছায় বিশেষ বিশেষজ্ঞ দল। দুর্যোগের পর আগামীদিনে এই হ্রদ কতটা ভয়ংকর, তা খতিয়ে দেখেই হ্রদের মুখ চওড়া করার সিদ্ধান্ত নেয় এই বিশেষ গবেষক দল। জানা যাচ্ছে, এই বিশেষ দলের নেতৃত্বে ছিলেন ইউএসএসি প্রধান এমপিএস বিস্ত। পাশাপাশি দলে ছিলেন জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ও উত্তরাখন্ড স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের বিশেষজ্ঞরাও।
রাজীব ইস্যুতে সিবিআইয়ের আর্জির মামলার শুনানি ২ সপ্তাহ পিছিয়ে গেল