ভোর রাতে চিতাবাঘের হানা, আতঙ্ক মারুতির মানেসার কারখানায়
মানেসারে মারুতি সুজুকির কারখানায় গভীর রাতে হানা দিল চিতাবাঘ। সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কর্মীদের মধ্যে। বেলা বাড়তে অবশ্য বনকর্মীরা চিতাবাঘটিকে ধরে নিয়ে যান।

ভোর রাত ৩.৩০ নাগাদ প্রথম গার্ড রুমের বাইরে চিতাবাঘটিকে দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষী ধরমবীর সিং। এরপরই ছুটে গিয়ে কন্ট্রোলরুমে ফোন করেন তিনি। সেসময়ে কারখানার ভেতরে প্রায় ৩৫০জন কর্মী কাজ করছিলেন। খবর পেয়েই পুলিশ এসে কারখানা ফাঁকা করে দেয়। এদিকে সকাল পর্যন্ত চিতাবাঘটি ধরা না পড়ায় মর্নিং শিফটও বাতিল করে দেওয়া হয়। সকাল ৬টার শিফটে এসে প্রায় হাজার দুয়েক কর্মী গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন।

এদিকে বনদফতরের কর্মীদেরও চিতাবাঘটিকে খুঁজে বের করতে বেগ পেতে হয়। বিশাল এলাকাজুড়ে এই কারখানায় কোথায় চিতাবাঘটি লুকিয়ে রয়েছে তা খুঁজতে সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। পরে অবশ্য ঘুম পাড়ানি গুলি দিয়ে চিতাবাঘটিকে কাবু করা হয়। মারুতি উদ্যোগ কামগার ইউনিয়নের সভাপতি কুলদীপ ঝাঙ্গু জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই পাশের কাসান গ্রামে চিতাবাঘটিকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেটিকে ধরার কোনও উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।
এদিকে মর্নিং শিফট বাতিল হয়ে যাওয়ায় সংস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে মারুতি উদ্যোগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।