বিজেপির শক্তি বাড়ল লোকসভার আগে, ‘প্রতিবাদী’ ফৌজি বেছে নিলেন তাঁর ‘পছন্দের দল’
একটা সময় এই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন ভারতীয় সেনার প্রাক্তন উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট শরথ চন্দ। সেই তিনিই সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর যোগ দিলেন বিজেপিতে।
একটা সময় এই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন ভারতীয় সেনার প্রাক্তন উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট শরথ চন্দ। সেই তিনিই সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর যোগ দিলেন বিজেপিতে। ২০১৯ লোকসভার আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি বলেন, ফৌজিদের একমাত্র পছন্দের দল হল বিজেপি।
প্রতিবাদীই নাম লেখালেন বিজেপিতে
লেফটেন্যান্ট শরথ চন্দ একটা সময়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে। নাগাড়ে আন্দোলন করেছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে চোখা চোখা বক্তব্য পেশ করেছেন। কিন্তু অবসরের পরই বদলে গেল মন। বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি।
স্বাগত জানালেন সুষমা স্বরাজ
লোকসভা ভোটের ঠিক প্রাক মুহূর্তে তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তাঁর হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে গেরুয়া শিবিরে স্বাগত জানান বিদেশমন্ত্রী। তাঁকে পেয়ে বিজেপি শক্তিশালী হল বলে জানান তিনি।
বিজেপিকেই প্রথম পছন্দ
আর বিজেপিতে যোগ দিয়ে লেফটেন্যান্ট শরথ চন্দ বলেন, বিজেপিকেই প্রথম পছন্দ করে ফৌজিরা। তাই বিজেপিকেই বেছে নিলাম। তাঁর কথায়, বিজেপি সেনাদের জন্য যা করেছে, এর আগে তা কেউ করেনি। বিজেপি সরকারের কাজ দেখেই দলে এলাম।
মোদীকে দেখে উৎসাহিত
বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি আরও বলেন, আগে কখনও ভাবিনি রাজনীতিতে আসব। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের শক্তিশালী নেতৃত্ব দরকার। আর নরেন্দ্র মোদীকে দেখে উৎসাহিত হয়েছি বলেই, রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা নিয়েছি। ইচ্ছা দেশের জন্য কিছু করার।
বিজেপিতে যোগদান তাৎপর্যপূর্ণ
এবার লোকসভা ভোটের আগে পুলওয়ামা-কাণ্ড এবং তারপর পাল্টা জবাবে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের ঘটনা ঘটেছে। আর তা নিয়ে বিজেপি লোকসভা ভোটে ইস্যু করেছে জঙ্গি হামলা ও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ঘটনা। ইস্যু হয়েছে দেশপ্রেম। সেই আঙ্গিকে সেনার প্রাক্তন উপপ্রধানের বিজেপিতে যোগদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় বাড়ছে তৃণমূল, উত্থান বিজেপির, সি-ভোটারের সমীক্ষায় অদ্ভুত সমাপতন]
কে এই শরথ চন্দ
উল্লেখ্য এই শরথ চন্দ ১৯৭৯ সালে গারওয়াল রাইফেলসে যোগ দেন। শ্রীলঙ্কায় পবন অভিযানে তিনি সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কার্গিল যুদ্ধেও একটি বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব কম্যান্ডের সদর দফতরে জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং ইন চিফ ছিলেন তিনি। শরথ চন্দ ৩৮ বছরের সেনা জীবন শেষ হয় ২০১৮-তে। তারপর তিনি প্রবেশ করলেন সক্রিয় রাজনী
[আরও পড়ুন:বাংলা থাকছে তৃণমূলের দখলে! বিজেপি কটি আসন পাবে, একনজরে সি-ভোটারের সমীক্ষা]