মোদী সরকারকে 'ধাক্কা' বাম শাসিত কেরলের! সিবিআই তদন্ত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
রাজ্যে সিবিআই (cbi) তদন্ত নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi vijayan) নেতৃত্বাধীন কেরল সরকার। এতদিন সিবিআইকে কোনও মামলায় তদন্ত চালাতে যে সাধারণ অনুমতি দেওয়া ছিল কেরল সরকারের তরফে তা এদিন থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে কোনও মামলায় তদন্ত করতে হলে সিবিআইকে কেরল সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

এর আগে যেসব রাজ্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে
কেরল সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিরোধী শাসিত মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং পশ্চিমবঙ্গ তাদের রাজ্যে সিবিআইকে দেওয়া তদন্ত করার জন্য সাধারণ অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে এই সিদ্ধান্ত টেবিলে থাকলেও, ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে কেরল সরকারের তরফে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ছত্তিসগড় সরকার ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সাধারণ অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ২০২০-র জুলাইয়ে রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকার এই একই পথে হাঁটে।

সব থেকে শেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার
সম্প্রতি(অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে) মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আঘাদি সরকার জানিয়েছেন, তারা রাজ্যে সিবিআই-এর কাজে বাধা দেবে। মহারাষ্ট্রে টিআরপি কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে যথেষ্টই শোরগোল পড়ে যায়। এর আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে মুম্বই পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। তবে সেই মামলার তদন্ত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।

সিবিআই তৈরি দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এসট্যাবলিসমেন্ট অ্যাক্টের মাধ্যমে
সিবিআই তৈরি হয়েছিল দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এসট্যাবলিসমেন্ট অ্যাক্টের মাধ্যমে। সেই কারণে কোনও রাজ্যে তদন্ত চালাতে গেলে সাধারণ অনুমতির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কেননা সংবিধান অনুযায়ী পুলিশ রাজ্যের তালিকা ভুক্ত। তবে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হলে, এনআইএ তদন্তের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন হয় না। কেননা সংসদে পাশ করে এনআইএ তৈরি করা হয়েছিল।

বিরোধীদের অপদস্থ করতে সিবিআইকে ব্যবহারের অভিযোগ
২০১৮-র শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সিবিআইকে দেওয়া সাধারণ অনুমতি প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। সেই সময় তাদের অভিযোগ ছিল কেন্দ্র বিরোধীদের অপদস্থ করতেই সিবিআইকে ব্যবহার করছে। যদিও ২০১৯-এ অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির সরকার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। তবে যে মামলার তদন্ত সিবিআই ইতিমধ্যেই চালাচ্ছে, সেগুলির ক্ষেত্রে কোনও রকমের ব্যাঘাত ঘটবে না। তবে নতুন মামলার ক্ষেত্রে অনুমতি প্রয়োজন হবে।

কেরলে লাইফ মিশন প্রোজেক্ট নিয়ে তদন্ত
গৃহহীনদের জন্য রাজ্য সরকারের লাইফ মিশন প্রকল্প নিয়ে তদন্তে যত গণ্ডগোল। এই প্রকল্পে অনিয়ম খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। অক্টোবরে কেরল হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের ওপর স্থগিতাদেরশ দেয়।

গুন্ডা মস্তানদের পকেটে পুরে রাখে বিজেপি, বিকাশ দুবের প্রসঙ্গ টেনে হুঙ্কার সায়ন্তন বসুর