রাজ্যে রাজ্যে শ্রম আইনে বদল! আন্তর্জাতিক শ্রমআইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সোচ্চার বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি
করোনা আবহে বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি শ্রমআইনের ওপর যে বিধিনিষেধ জারি করেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছে বামদলগুলি।
করোনা আবহে বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলি শ্রমআইনের ওপর যে বিধিনিষেধ জারি করেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছে বামদলগুলি। বামদল এবং বাম শ্রমিক ইউনিয়নগুলির অভিযোগ, এই কাজে সমর্থন করছে কেন্দ্র। এই পদক্ষেপ শ্রমজীবী মানুষের ওপর অমানবিক অপরাধ ও বর্বরতা বলে অভিযোগ করেছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি।
কালবৈশাখী হতে পারে ঘন্টায় ৬০ কিমি বেগে, সতর্কবার্তা হাওয়া অফিসের
রাজ্যে রাজ্যে শ্রমিক বিরোধী আইনে ছাড়পত্র
বিজেপি শাসিত গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, এবং কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান ও পঞ্জাবে কাজের সময় ৮ ঘন্টা থেকে বাড়িয়ে ১২ ঘন্টা করে দেওয়া হয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে ফ্যাক্টরি আইনের কোনওরকম সংশোধন করা হয়নি। আরও রাজ্য এই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
উত্তর প্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই তিনবছরের জন্য শ্রম আইন সাসপেন্ড করেছে। মধ্যপ্রদেশ সরকার তাদের ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী হাজার দিনের জন্য সব ধরনের শ্রমআইন ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছে।
গুজরাত সরকারও ১২০০ দিনের জন্য কারখানাগুলিকে শ্রমআইন মুক্ত করার কথা জানিয়েছে। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাও সেই পথে হাঁটতে চলেছে বলে দাবি করেছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবাদী চিঠি
রাজ্যে
রাজ্যে
শ্রমিক
বিরোধী
আইনে
ছাড়পত্র
দেওয়ার
অভিযোগ
করেন
ইতিমধ্যেই
রাষ্ট্রপতি
চিঠি
দেওয়া
হয়েছে
বামেদের
উদ্যোগে।
সিপিএম
সাধারণ
সম্পাদক
সীতারাম
ইয়েচুরি
ছাড়াও
চিঠিতে
স্বাক্ষর
করেছেন
সিপিআই
নেতা
ডি
রাজাও।
রাষ্ট্রপতির
কাছে
প্রতিবাদ
পত্রে
সামিল
হয়েছেন
আরও
পাঁচ
বিরোধী
দলও।
ইয়েটুরি
বলেছেন,
যেখানে
বিশাখাপত্তনমে
গ্যাস
দুর্ঘটনা,
মহারাষ্ট্রে
পরিযায়ী
শ্রমিকদের
রেলে
কাটা
পড়ার
মতো
ঘটনা
ঘটেছে,
সেখানে
সরকারগুলির
সিদ্ধান্ত
শ্রমিকদের
আরও
কোণঠাসা
করবে।
সিটু, এআইটিইউসির প্রতিবাদ
সিটু, এআইটিইউসির মতো বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কাজ করা হচ্ছে। অবিলম্বে আইনপ্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফ থেকে। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ কেন্দ্র শ্রমিক স্বার্থের সঙ্গে আপস করছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে শ্রমিকদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম আইন লঙ্গনের অভিযোগ
বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শ্রম আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করছে। এব্যাপারে আইএলও কনভেনশনের ৮৭ , ৯৮, ১৪৪ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে
নিয়োগকারীদের সংগঠনের দাবি
দেশ জুড়ে নিয়োগকারী সংগঠনগুলোর দাবি, শ্রম আইন দু থেকে তিন বছরের জন্য শিথিল করে দেওয়া হোক। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বাঁচানো সম্ভব হবে বলে দাবি তাদের।