কেরলে বাম সরকারে তুঘলকি পদক্ষেপ! ৩৪৪ জন শিক্ষক রাতারাতি হয়ে গেলেন ঝাড়ুদার
কেরলের (Kerala) আদিবাসী এলাকায় কাজ করা বিভিন্ন স্কুলের (School) ৩৪৪ জন শিক্ষককে (teacher) ঝাড়ুদারে (sweeper) পরিণত করল কেরলের প্রগতিশীল বাম (Left) সরকার। রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই শিক্ষকদে
কেরলের (Kerala) আদিবাসী এলাকায় কাজ করা বিভিন্ন স্কুলের (School) ৩৪৪ জন শিক্ষককে (teacher) ঝাড়ুদারে (sweeper) পরিণত করল কেরলের প্রগতিশীল বাম (Left) সরকার। রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই শিক্ষকদের চাকরি বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রী সবাই।
দুর্দশা শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকে
গত মাসের শুরুর দিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এর পাশাপাশি শিক্ষকদের দুর্দশার বিষয়টিও প্রকাশিত হয়েছিল। মাসের পর মাস ধরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনও বকেয়া পড়েছে। এরপর শুক্রবার থেকে এই বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্রগুলি বন্ধের জন্য সরকারি নির্দেশি কার্যকর হয়েছে। আদিবাসী এলাকায় শিশুদের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমাজকর্মীরা।
শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে হতাশা
ইতিমধ্যে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে উষা কুমারী নামে একজনেক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে। তিনি গত ২৩ বছর ধরে তিরুবনন্তপুরমের আম্বুরি কুন্নাথুমালা স্কুলের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি হতাশ কেননা তিনি আর শিশুদের মধ্যে থাকতে পারবেন না। তিনি হতাশ কেননা শিশুদের লেখা-পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতে এবং শেখার মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের রাস্তা দেখাতে পারবেন না। শুক্রবারে তিনি শেষ ক্লাস নিয়েছেন। সেখানেই তিনি ছাত্রছাত্রীদের বলেছিলেন, এদিনের ক্লাসই তাঁদের শেষ। কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা ভেবেছিল তিনি মিথ্যা বলছেন। আর স্থানীয়রা ভাবছেন, তাঁদের প্রিয় শিক্ষিকা অন্যবারের মতো সপ্তাহ খানের ছুটির পরেই ফিরে আসবেন। স্থানীয়রা তাঁকে গত ২৩ বছর ধরে দেখে আসছেন, সপ্তাহের ৫ দিন প্রায় ১৪ কিমি পাহাড়ি পথ হেঁটে ক্লাস স্কুলে আসতে।
সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি
এক
সর্বভারতীয়
সংবাদ
মাধ্যমে
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী,
কেরলের
শিক্ষা
দফতরের
এক
আধিকারিক
জানিয়েছেন,
দফতরে
প্রায়
৫০০-র
কাছাকাছি
পুরো
সময়ের
এবং
আংশিক
সময়ের
ঝাড়ুদার
নেওয়া
হবে।
তবে
উচ্চশিক্ষা
দফতরের
প্রধান
সচিব
এপিএম
মহঃ
হানিশ
বলেছেন,
রাজ্য
সরকার
এখনও
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
ঝাড়ুদার
হিসেবে
নিয়োগের
ব্যাপারে
চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত
নেয়নি।
বিষয়টির
সম্মানজনক
সমাধানের
চেষ্টা
তাঁরা
করছেন
বলে
সংবাদ
মাধ্যমকে
জানিয়েছেন
হানিশ।
তবে
সরকার
ওইসব
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
১২
মাস
পর্যন্ত
বকেয়া
বেতম
মিটিয়ে
দেওয়ার
সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
মহামারীতেই ধাক্কা খেয়েছে অনেক কিছু
আদিবাসী জনপদ থেকে শিশুদের বিনামূল্যে পরিবহণের ব্যবস্থা করে স্কুলে আনার জন্য গোত্রা সারধি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সব কিছু ধাক্কা খেয়েছে। মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসলেও প্রকল্পটিকে এখনও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়নি। তবে সমাজকর্মীরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ হল শিশুরা ড্রপআউট হয়ে যাবে। অধিকাংশ আদিবাসী গ্রামেই এই একই পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আগামী ৪-৫ বছরে দেশে ১০ লক্ষ চাকরি! বেকারদের জন্য মোদী সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা পীযূষ গোয়েলের