লোকসভার আগে কামব্যাকের স্বপ্ন, রবিবাসরীয় ব্রিগেড থেকে অক্সিজেন পেতে চাইছে বামেরা
তৃণমূল ও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বামেদের ব্রিগেড সমাবশের প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। রবিবার দুপুরে বহু প্রতীক্ষিত এই ব্রিগেড সমাবশ থেকে ফের রাজ্যে কামব্যাক করতে চাইছে সিপিএম তথা বামেরা।
তৃণমূল ও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বামেদের ব্রিগেড সমাবশের প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। রবিবার দুপুরে বহু প্রতীক্ষিত এই ব্রিগেড সমাবশ থেকে ফের রাজ্যে কামব্যাক করতে চাইছে সিপিএম তথা বামেরা। লোকসভার আগে তাই ব্রিগেডকে ঘিরে বাম কর্মী-সমর্থখদের উৎসাহ ও উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে।
এবার ব্রিগেডে বক্তা হিসেবে থাকছেন সীতারাম ইয়েচুরি থেকে শুরু করে সূর্য়কান্ত মিশ্র, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, এমনকী তরুণ-তুর্কি কানাইয়া কুমার পর্যন্ত। অসুস্থতার কারণে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য না থাকলেও তিনি ব্রিগেডের আগে বার্তা দিয়েছেন। তাঁর ব্রিগেড ভরানোর বার্তাতেই বাম নেতা-কর্মীরা উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন।
১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে যে ব্রিগেড হয়েছিল, তা ব্রিগেডের অপমান বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেছিলেন, ব্রিগেড করতে পারেন তাঁরাই। তিনি তৃণমূলের ব্রিগেডের থেকেও বড় সমাবেশ করবেন বলে চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছেন।
সেইমতো শনিবার সকাল থেকেই শহরে ভিড় জমতে শুরু করেছে। দলে দলে মানুষ আসছেন বামফ্রন্টের ব্রিগেড ভরাতে। স্বয়ং বিমান বসু এই দাবি করেছেন। তিনি বলেন, জেলা থেকে কলকাতামুখী হয়েছেন মানুষ। রবিবারের ব্রিগেড ভরিয়ে বাংলার মানুষ বার্তা দেবে, বামেরা এখনও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি। এখন সিংহভাগ মানুষ বামেদের সঙ্গে আছেন।
মহম্মদ সেলিম বলেন, কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে, রাজ্য থেকে তৃণমূলের অপশাসনের মুক্তি ঘটাতে এই ব্রিগেড সমাবেশ। দেশের সুরক্ষায়, রাজ্যকে সঠিক দিশা দিতে যে বামফ্রন্ট ছাড়া বিকল্প নেই, তা বোঝাবে এই ব্রিগেড। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। শনিবার থেকেই কলকাতায় লালঝান্ডা নিয়ে সমর্থকরা হাজির।
সম্প্রতি বামেদের একাধিক কর্মসূচিতে ভালো সাড়া মিলেছে। কর্মী-সমর্থকরা নিজে থেকেই মিটিং-মিছিল পা মেলাচ্ছেন। এই উৎসাহই কাজে লাগাতে চাইছে বামেরা। এবার লোকসভায় ফের ভালো ফল করে রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরার পথ প্রশস্ত করতে চাইছে বামেরা। সেই লক্ষ্যেই রবিবার ব্রিগেড থেকে একযোগে তৃণমূল ও বিজেপিকে নিশানা করতে চাইছে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।