Tripura Elections 2023: কংগ্রেসের পাল্টা চাপ বামেদেরও! ত্রিপুরায় সমস্যার বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানে আশাবাদী দুপক্ষই
ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতার পরেও জট অব্যাহত। কংগ্রেসের ১৬ আসনে প্রার্থী দেওয়া মেনে নিতে পারেনি বামফ্রন্ট। তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশাবাদী বাম-কংগ্রেস উভয়পক্ষই।
জোট নয়, সরকার থেকে বিজেপিকে সরাতে ত্রিপুরায় আসন সমঝোতা করেছিল বাম-কংগ্রেস। তবে আসন সমঝোতা এখন বিশ-বাঁও জলে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিষয়টি নিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের ব্যাপারে আশাবাদী বাম-কংগ্রেস দুপক্ষই।
৬০ আসনে প্রার্থী বামেদের
ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোটকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার পরে ২৫ জানুয়ারি ১৩ টি আসন কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে ৪৭ টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বামফ্রন্ট। এরপরেও রাজ্য বামফ্রন্ট ৩০ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ৬০ টি আসনেই মনোনয়ন জমা দেয় বামেরা। ত্রিপুরা নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর ৩০৫ টি মনোনয়ন তোলা হলেও সব মিলিয়ে ২২৮ টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
সমস্যার সমাধানে আশাবাদী সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক
কংগ্রেসের তরফে ১৬ আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। আসন সমঝোতা অনুযায়ী, যা বামেদের থেকে তিনটি আসনে বেশি। অন্যদিকে পরিস্থিতির আঁচ করতে পেরে বামেরা সবকটি আসনে মনোনয়ন জমা দেয়। তবে সমস্যার সমাধানে আশাবাদী রাজ্য সিপিআইএম সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তারা সব আসনে মনোনয়ন জমা দিলেও ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১৩ জন প্রার্থীকে প্রত্যাগার করা হবে, যদি কংগ্রেস মাত্র ১৩ জনকেই দলীয় প্রতীক বরাদ্দ করে। ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়কও বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।
আসন ছাড়তে পারে সিপিএম
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাম কিংবা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। নিচুতলার ক্ষোভ রয়েছে। বিশেষ করে আসন ভাগাভাদি নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে অস্বস্তি রয়েছে। যে কারণে বামে সবকটি আসনে প্রার্থী দেয়। এটা কংগ্রেসের ওপরে পাল্টা চাপ তৈরি প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কোনও বন্ধুত্ব লড়াই নয়। শেষ পর্যন্ত সিপিএম একটি কিংবা দুটি আসন ছাড়তে পারে কংগ্রেসকে। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতারাও মানছেন আসন সমঝোতা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুপক্ষই। বিজেপিকে হারাতে বাম-কংগ্রেসকে একসঙ্গে লড়াইয়ের পক্ষপাতি তারাও।
বিজেপির কটাক্ষ
২০১৮-র নির্বাচনে বামেরা ৬০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করে ১৬ টি আসনে জয় পায়। অন্যদিকে কংগ্রেস ৫৯ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোনও আসন পায়নি। পরে বিজেপি থেকে কংগ্রেসের যোগ দিয়ে উপনির্বাচনে জয়ী হন সুদীপ রায়বর্মন। সেই পরিস্থিতিতে এবার বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, গতবারের থেকে এবার পাঁচ থেকে ছটি আসন বেশি পাবে তারা। অর্থাৎ তাদের দাবি, আসন সংখ্যা ৬০-এর মধ্যে ৪৯ থেকে ৫০-এ পৌঁছে যাবে। আর বাম-কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মতো শূন্য হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালাসেন্সের আহ্বায়ক তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।