বাম দুর্গ অটুট জেএনইউ-তে, হেরেও মচকাতে নারাজ এবিভিপি
জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ নির্বাচনে চারটি পদই নিজেদের দখলে রাখল বামেরা, হেরে গিয়েও নৈতিক জয় হয়েছে বলেই দাবি বিজেপির ছাত্র সংগঠনের।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল ঝড়ের খটড়কুটোর মতই উড়ে গেল গেরুয়া শিবির। ছাত্র সংসদ নির্বাচনে চারটি পদই নিজেদের দখলে রাখল বামেরা। এবিভিপির প্রার্থী নিধি কুমারীকে ৪৬৪ ভোটে হারিয়ে জেএনইউ ছাত্র সংসদের নয়া সভানেত্রী হয়েছেন গীতা কুমারী। অবশ্য হেরে গিয়েও নৈতিক জয় হয়েছে বলেই দাবি বিজেপির ছাত্র সংগঠনের।
দেশের অন্যতম সেরা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে একটি আসন দখল করতে পেরেছিল এবিভিপি। আগামী দিনে দেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বামেরা মুছে যাবে বলে দাবি করেছিল বিজেপি। কিন্তু না, তা আর হল না। বরং বামেদের সম্মিলিত শক্তির সামনে দাঁড়াতে পারল না এবিভিপি-ই। রবিবার ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঢেকে যায় লাল আবিরে। ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদকের চারটি গুরুত্বপূর্ণ আসনই জিতে নিল, আইসা, এসএফআই ও ডিএসএফ জোট। তৃতীয় স্থানে উঠে এল বাপসা।
ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতির পদে জয়ী হয়েছেন আইসা-র সিমোন জোয়া খান। তিনি এবিভিপির দুর্গেশ কুমারকে প্রায় ৮০০ ভোটে হারিয়েছেন। সম্পাদকের পদে জয়ী হয়েছেন দুগ্গিরালা শ্রীকৃষ্ণা। তিনি এবিভিপির নিকুঞ্জ মাকওয়ানাকে হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছেন। অপরদিকে যুগ্ম সম্পাদকের পদে জিতেছেন বামপ্রার্থী শুভাংশু সিং। তিনি হারিয়েছেন এবিভিপি-র পঙ্কজ কেশরীকে।
অবশ্য ভাঙলেও মচকাতে নারাজ বিজেপির ছাত্র সংগঠন। তাদের দাবি, হেরে গেলেও জেএনইউ-তে তাদের নৈতিক জয় হয়েছে। কারণ হেরে গেলেও তাদের ভোট বেড়েছে। এবং বামেরা জয়ী হলেও এবিভিপি এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে।