হিমন্ত ম্যাজিকে মণিপুরে ‘শাহি ঘরানা’ ধরে রাখল বিজেপি, কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ফের ক্ষমতা দখল
মণিপুরে ‘শাহি ঘরানা’ ধরে রাখল বিজেপি, কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ফের ক্ষমতা দখল
অবশেষে কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে মণিপুরে ক্ষমতা ধরে রাখল বিজেপি। সূত্রের খবর, অবশেষে বুধবার দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরর সঙ্গে কথা বলার পরে বিরোধ ভুলে ফের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে ফিরে আসতে রাজি হয়েছেন এনপিপির বিধায়কেরা। যার জেরে বর্তমানে খানিক স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
মণিপুরের রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত কোথায় ?
সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে বিজেপির জোট ছেড়ে সম্প্রতি বেরিয়ে যান এনপিপির বিধায়কেরা। ফলস্বরূপ মণিপুরে প্রবল সঙ্কটের মুখে পড়ে বিজেপি সরকার। সমর্থন সরে যাওয়ায়, বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে মণিপুরের শাসকদল। এমতাবস্থায় সঙ্কটমোচনে আসরে নামেন উত্তর-পূর্ব রাজনীতির ‘চাণক্য' তথা অসমের বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
শাহি ঘরানাতেই বেরিয়ে আসে রফা-সূত্র
এদিকে মণিপুরে সরকার ভেঙে যাওয়ার অবস্থা হলেও অবশেষে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মাস্টর-স্ট্রোক ও অমিত শাহের ‘শাহি ঘরানাতেই' ফের ন্যাশনাল পিপল'স পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির টানাপোড়নের অবসান হয় বলে জানা যাচ্ছে। গতকালই হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মধ্যস্থতায় দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয়প্রকাশ নাড্ডা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাংমা কনরাড এবং মণিপুরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই জয়কুমার সিং। সেখান থেকেই বেড়িয়ে আসে সমাধান সূত্র।
বুধবারের বৈঠকের পর কী বললেন উত্তর-পূর্ব রাজনীতির ‘চাণক্য’
এদিকে এর আগে মতানৈক্যের জের সম্প্রতি এনপিপির চার বিধায়ক এবং বিজেপির তিন বিধায়ক মণিপুরের এন বীরেন সিংয়ের সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। জোট সঙ্গীরাই সমর্থ প্রত্যাহার করায় মহা ফাঁপরে পড়ে বিজেপি। এদিকে বুধবারের বৈঠকের পর বিজেপি'র পক্ষে মণিপুর পুনরুদ্ধার মিশন সফল হলে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইট করেন, "নয়াদিল্লীতে বিজেপি প্রধান জয় প্রকাশ নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্'র সঙ্গে বৈঠকের পর মণিপুরের এনপিপি এমএলএরা রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন পুনঃব্যক্ত করেছেন।"
সেকুলার প্রোগেসিভ ফ্রন্ট গঠন করে সরকার গঠনের প্রস্তাব কংগ্রেসের
এদিকে এনপিপি-সহ বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটের একাধিক বিধায়ক মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকেই তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। তারা বীরেন সিংকে সরিয়ে ফেলারও দাবি জানাতে থাকেন। সেই মতানৈক্যের জেরেই বর্তমানে মণিপুরের জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান মোট ৯ বিধায়ক। এর মধ্যে রয়েছেন এনপিপির চার বিধায়ক, বিজেপির তিন বিধায়ক। এছাড়াও রয়েছেন এক নির্দল এবং এক তৃণমূল বিধায়ক। এদিকে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল বিজেপি ত্যাগী বিধায়কেরা তাদের সঙ্গে আছে। নতুন জোটের নাম ছিক করে সরকার গঠনেরও ছক কষে কংগ্রেসও। অনাস্থা ভোটেরও দাবি জানানো হয়। সেকুলার প্রোগেসিভ ফ্রন্টের মুখ হিসাবে মণিপুরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিংকে দাঁড় করানোর কথাও ভেবেছিল কংগ্রেস।
কেমন ছিল মণিপুর বিধানসভার রসায়ন
এদিকে রাজ্যসভা ভোটের ঠিক আগে তিন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দেওয়া আগেই সমস্যা বেড়েছিল পদ্ম শিবিরের। ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ২১ থেকে কমে হয়ে যায় ১৮। এরপর জোট সরকার থেকে এনপিপি সমর্থন প্রত্যাহার করায় ঘরে বাইরে তীব্র সমস্যায় জেরবার হয় বিজেপি। কিন্তু অবশেষে শাহি ঘরানায় হিমন্ত ম্যাজিকেই অবশেষে মণিপুরে ক্ষমতা ধরে রাখল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকছেন বীরেন সিংই। এদিকে বুধবার কেন্দ্রীয় বৈঠকের পর বিজেপির ট্রাবল-শ্যুটার তথা উত্তর পূর্ব গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও জানান এখন থেকে বিজেপি এবং এনপিপি উভয়ই মণিপুরের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
লকডাউন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে নাটক করছেন মুখ্যমন্ত্রী! শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলে বিস্ফোরক রাহুল
{quiz_184}