বিশ্বজুড়ে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন নিয়ে জোর তরজা, এর গুণমান সম্পর্কে জানেন কী
বিশ্বজুড়ে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন নিয়ে জোর তরজা, এর গুণমান সম্পর্কে জানেন কী
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ড্রাগ হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন নিয়ে জোর আলোচনা বিশ্বজুড়ে। মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন রপ্তানির আর্জি জানানোর পরও রপ্তানি শুরু না হওয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ট্রাম্প।
এখনও গবেষণাধীন হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইনের ক্ষমতা
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইনের বিষয়ে সীমাহীন প্রশংসা করা সত্ত্বেও করোনা প্রতিরোধে এই ঔষধির ক্ষমতা এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। যদিও একাধিক দেশে করোনা সংক্রমণের চিকিত্সায় এই ড্রাগসকেই সর্বাধিক মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন কী?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে আবিষ্কৃত হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন মূলত ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঔষধি হিসেবে খ্যাত। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের মতে, হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন মূলত পেশি ও গাঁটের ব্যথা, চামড়ায় ফুসকুড়ি, হৃদয় ও ফুসফুস জনিত সমস্যা ও প্রবল জ্বরে নিরাময়ী হিসেবে কাজে লাগে। হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন 'প্ল্যাক্যুইনিল' জেনেরিক নামে বাজারে পাওয়া যায়।
হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন কী সমস্যা উদ্রেককারী?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)-এর অধিকর্তা জেনারেল বালরামা ভার্গভের মতে হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন মূলত করোনা আক্রান্ত এবং তাঁদের সাথে সরাসরি সংস্পর্শে আসা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ব্যবহৃত হওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, উক্ত ড্রাগ জরুরি অবস্থায় প্রাণদায়ী হতে পারে।
হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইনের ফলে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে কী?
হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইন একটি জীবনদায়ী ঔষধি হলেও বিনা উপদেশে উক্ত ড্রাগ ব্যবহারে হার্ট-ব্লক বা হৃদস্পন্দনে গোলযোগের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ঘুম-ঘুম ভাব, হাঁচি, বমি বা ডায়রিয়া হতে পারে যা সুস্থ মানুষকেও অসুস্থ করে তুলতে পারে। তাই আইসিএমআরের গবেষকদের বক্তব্য অনুযায়ী, ডাক্তারের উপদেশ ব্যতীত নিজ হাইড্রক্সিক্লোরোক্যুইনের ব্যবহার নিরাপদ নয়।
তবলিঘি জামাত সদস্যদের হাসপাতালে থুতু ছেটানো কাণ্ডের জেরে প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ