বিসর্জনই একটা উৎসব খালনার ৩ দিনের লক্ষ্মীপুজোয়
উৎসবের অঙ্গ নয়, বিসর্জনই এখানে একটা উৎসব। তিনদিন ধরে কোজাগরী লক্ষ্মী-উৎসবের শেষে বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সমস্ত পুজো কমিটি একত্রিত হয়ে মেতে ওঠে সেই আনন্দমুখর উৎসবে। খালনার ক্ষুদিরায়তলায় বিভিন্ন বারোয়ারি কমিটির এক শতাধিক লক্ষ্মী প্রতিমা সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়। তারপর শুরু হয় সিঁদুর খেলা, আবির খেলা।
তিনশো বছরের বেশি সময় ধরেই একই দিনে একত্রে সমস্ত লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জনের এই রীতি চলে আসছে জয়পুরের খালনায়। সোমবারও দেখা গেল সেই অনিন্দ্যসুন্দর দৃশ্য। প্রথামতো এবারও খালনা গ্রামের সমস্ত বারোয়ারি পুজো কমিটির লক্ষ্মী প্রতিমা মণ্ডপ থেকে নামিয়ে শোভাযাত্রা করে নিয়ে আসা হয় বাজার সংলগ্ন ক্ষুদিরায়তলায়।
সেখানেই সন্ধ্যা থেকে সমস্ত পুজো কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠেন আবির খেলায়। মহিলারা মাতেন সিঁদুর খেলায়। আবির খেলায় তিন থেকে তিরাশির সমস্ত দর্শনার্থীরা। লক্ষ্মীপুজোর এই তৃতীয় তথা শেষ দিনে আদতে মিলন মেলার রূপ নেয় খালনা।হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন এই মিলন উৎসবে। এবারও তার অন্যথা হল না। এই উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক পুলিশ বন্দোবস্ত ছিল এদিন। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের পদস্থ কর্তারাও।
পুরো উৎসব যাতে সুষ্ঠুভাবে পালিত হয় তার জন্য আগে থেকেই সমস্ত বন্দোবস্ত করে রাখে জেলা পুলিশ। নিরাপত্তার ব্যাপারে সমস্তরকম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। মোতায়েন রাখা হয়েছে শতাধিক পুলিশ। মোড়ে মোড়ে পুলিশ পোস্টিং। উৎসবস্থল ক্ষুদিরায়তলায় ব্যারিকেড করা।
পুরো অনুষ্ঠান পর্ব সুষ্ঠুভাবে সারতে আগাগোড়া তদারকি করেন আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র। ক্ষুদিরায়তলায় এই অনুষ্ঠান পর্ব সাঙ্গ করে প্রতিমা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যার যার প্যান্ডেলে। তারপর সুশৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হয়ে নিরঞ্জন পর্ব সাঙ্গ করা হয়। স্থানীয় প্রতিষ্ঠিত পুকুরেই অধিকাংশ প্রতিমার নিরঞ্জন হয়।