তিন বছর ধরে স্বামী তার বন্ধুদের দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করাচ্ছে, ধৃত অভিযুক্ত
স্ত্রী অদল–বদল। সিনেমার চিত্রনাট্য এবার দেখা গেল বাস্তবে। এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী অভিযোগ করেন যে তাঁকে তার স্বামীর তিন বন্ধু মিলে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। আক্রান্ত অভিযোগ জানিয়েছে যে ২০১৭ সাল থেকে তিনি অভিযুক্তের মাধ্যমে ধর্ষিত হয়ে এসেছেন।

বুধবার অভিযুক্তকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। ২০০৩ সালে ওই ব্যক্তির বিয়ে হয়েছিল, দম্পতির দু’টি সন্তানও রয়েছে। ধর্ষণের পর ওই মহিলা বিবাহবিচ্ছেদ করে ব্যবসায়ীর সঙ্গে। ওই মহিলা জানিয়েছেন, এ বছরের গোড়ার দিকে গোটা ঘটনাটি তিনি তাঁর শ্বশুরকে জানান কিন্তু তিনি কোনও সাহায্য করেননি। মহিলার দাবি, তিনি যাতে এই ঘটনার কথা কাউকে না জানায় তার জন্য তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। আক্রান্তের কথা অনুযায়ী তিনি ২০১৭ সালের জুন মাসে প্রথমবার ধর্ষিত হন। এ বছরের আগস্টে তিনি তাঁর মায়ের কাছে চলে যান।
মহিলা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ১৫ জুন তিনি ও তাঁর স্বামী নৈশভোজে যান। সেখানে ওই ব্যবসায়ী তার এক বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। মহিলার স্বামী বন্ধুর গাড়ির সামনের আসনে বসতে তাঁকে বাধ্য করে। অন্যদিকে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে মহিলার স্বামী পেছনের আসনে বসে। এই মহিলা দাবি করেন যে স্বামীর বন্ধু তাঁর শ্লীলতাহানি করে। কিন্তু সে বিষয়ে স্বামীকে জানালে সে বলে, 'কিচ্ছু হবে না’। যদিও মহিলার স্বামীও বন্ধুর স্ত্রীর শরীরে আপত্তিজনকভাবে স্পর্শ করছিল। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তারা সকলে একটি ফ্ল্যাটে আসে। যেখানে স্বামীর বন্ধু ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। অপরদিকে তাঁর স্বামী বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে অন্য ঘরে ছিল। ধর্ষণের বিষয়ে মহিলা তাঁর স্বামীকে জানালে, সে কথা দেয় যে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। যদিও এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় এবং অভিযুক্ত তার স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চায়।
এই ঘটনার পর ২০১৭ সালের অক্টোবরে মহিলার স্বামী ফের তাঁকে একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় এবং সেখানেও একইভাবে স্বামীর বন্ধু তাঁকে ধর্ষণ করে। উপরন্তু ঘটনার কথা কাউকে জানালে তাঁকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারঁ স্বামী। এই ঘটনার দু’দিন পর ফের আক্রান্তের স্বামী অন্য একজনকে বাড়িতে আনে এবং মহিলাকে তাঁর স্বামীর সামনেই ধর্ষণ করা হয়। ওই সপ্তাহেই ওই ব্যক্তি ফের মহিলাকে যৌন হেনস্থা করে, যার ভিডিও তোলে ওই ব্যবসায়ী। মহিলা জানিয়েছেন, এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দু’টি ভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হেনস্থা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।