গত তিনদিনে গুজরাতে ১৮টিরও বেশি আফটার শক, রবিবারে কচ্ছ জেলায় দু’বার ভূমিকম্প
গত তিনদিনে গুজরাতে ১৮টিরও বেশি আফটার শক, রবিবারে কচ্ছ জেলায় দু’বার ভূমিকম্প
রবিবার গুজরাতের কচ্ছ জেলায় ৫.৩ তীব্রতায় ভূমিকম্পের পর গত তিনদিনে ১৮টিরও বেশি আফটার শক হয়েছে এ রাজ্যে। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অফ সিসমোলজিকাল রিসার্চ (আইএসআর)। এর আগে দিল্লি, মণিপুর, হরিয়ানা ও জম্মু–কাশ্মীরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
সোমবার রাত থেকে পরপর আফটার শক
আইএসআর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪৯ মিনিটে ৩.৭ তীব্রতায় আফটার শক হয়, এরপর ২.৩, ১.৭ ও ১.৯ তীব্রতায় সোমবার রাত থেকে পরপর আফটার শক হয়। গান্ধীনগরের আইএসআরের ডিরেক্টর সুমের চোপড়া জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১৯ বার কম্পন রেকর্ড হয়েছে, দুটি নতুন ভূমিকম্প ৪.৬ এবং ৪.১ মাত্রায় যা দক্ষিণ ওয়াঘাদ ফল্টলাইনের পৃথক শাখায় সোমবার অনুভূত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই সব আফটার শকগুলি শুধুমাত্র রবিবারের ভূমিকম্পের কারণে নয়। কিছু কিছু কম্পন কাছাকাছি ফল্টলাইনের জন্যও হয়েছে।'
ফল্টলাইনে ভূমিকম্প
চোপড়া জানান, দক্ষিণ ওয়াঘাদ ফল্টে ৫.৩ তীব্রতায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, এই ফল্টের সঙ্গে বহু শাখা জড়িয়ে রয়েছে। যখন এই ফল্টে কম্পন অনুভূত হয় তখন অন্য শাখাগুলিও কেঁপে ওঠে। সুতরাং, যখন এই মাঝারি তীব্র কম্পনটি দেখা গেল, তখন এটি কাছাকাছি সংযুক্ত ফল্টগুলিকে বিরক্ত করে এবং তাদের মধ্য দিয়ে কম্পন অতিক্রম করে। সোমবার ৪.৬ ও ৪.১ তীব্রতায় যে দু'টি কম্পন অনুভূত হয়েছে তার শাখা হল প্রধান দক্ষিণ ওয়াঘাদ ফল্ট এবং প্রযুক্তিগতভাবে তা ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকম্প ছিল।
সোমবার দুপুরে দু’বার ভূমিকম্প হয়
আইএসআরের মতে, সোমবার দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে ৪.৬ তীব্রতায় ভূমিকম্প হয়, যার উৎসস্থল ছিল কচ্ছের ১৫ কিমি উত্তর-উত্তরপূর্বের ভুজ, এর পরের ভূমিকম্পটি হয় ওইদিনই দুপুর ৩টে ৫৬ মিনিটে ৪.১ তীব্রতায়, যার উৎসস্থল ৬ কিমি উত্তর-উত্তরপূর্ব ভুজ। এই ভূমিকম্প মিলিয়ে প্রায় ১৭ বার আফটার শক হয়েছে।
রবিবারও ভূমিকম্প হয় রাজকোট ও পাটানে
রবিবার রাত ৮টা ১৩ নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয় কচ্ছ ও রাজকোট ও পাটান সহ গুজরাতের কিছু অংশে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৩। কচ্ছ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে ভূমিকম্পে কোনও বড় ধরনের ক্ষতি হা হতাহত হয়নি। কচ্ছ জেলা একটি খুব উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত এবং নিম্নতর তীব্রতার ভূমিকম্পগুলি নিয়মিত সেখানে ঘটে।
করোনায় মৃত্যু ঠেকাতে পারে এমন ওষুধের সন্ধান মিলেছে, মহামারী থেকে মুক্তির দিশা দেখছেন গবেষকরা