সিএএ আসতেই বিপুল সংখ্যায় অবৈধ অভিবাসীরা সীমান্ত দিয়ে ফিরছে বাংলাদেশে! কী জানাল বিএসএফ?
সিএএ আসতেই বিপুল সংখ্যায় অবৈধ অভিবাসীরা ফিরছে বাংলাদেশে! কী জানাল বিএসএফ?
সিএএ লাগু হতেই বিশাল সংখ্যায় বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ভারত ছেড়ে নিজেদের দেশে ফিড়ছেন। এমনই দাবি করল বিএসএফ। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে এক শীর্ষস্থানীয় বিএসএফ আধিকারিক বলেন, 'সিএএ লাগু হওয়ার পরেই ভারতে বসবাসকারী বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে দারুণ ভয়ের সঞ্চার হয়েছে।'
বিএসএফ-এর আইজির বক্তব্য
দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ-এর আইজি ওয়াইবি খুরানিয়া এই বিষয়ে বলেন, 'সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীরা অনেক সংখ্যায় ফিরে যাচ্ছে সেদেশে। মূলত গত এক মাসে এই ফইরে যাওয়ার সংখ্যাটি বেড়েছে। শুধুমাত্র জানুয়ারিতেই আমরা ২৬৮ অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছি। তাদের বেশিরভাগই প্রতিবেশী দেশে পালানোর চেষ্টা করছিল।'
আইনের শর্ত
নতুন লাগু হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের শর্ত, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। বিলটি ৩১১-৮০ ব্যবধানে পাশ হয়। বুধবার রাজ্যসভায় এটি পাশ হয় ১২৫-৮২ ব্যবধানে। তবে আইনটি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাশ করলেও এটিকে বিভেদ সৃষ্টিকারী আখ্যা দিয়ে পথে নেমেছে বিরোধীরা।
রাজ্যগুলির কাছে বিরোধিতার উপায় নেই!
তবে আইন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলতে থাকলেও আইন প্রনয়ণে কোনও বাধা আসবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই আইনের বিরোধিতা করলেও কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ও কপিল সিব্বল বলেন যে, রাজ্যদের এই আইন না মানার পথ নেই। কারণ নাগরিকত্ব বিষয়টি কেন্দ্রের অধীনস্থ। তাদের আরও মত রাজনৈতিক ভাবে ঐক্য দেখাতেই অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যগুলি সিএএ বিরোধী রেজোলিউশন পাশ করাচ্ছে। তবে এতে আখেরে লাভ হবে না কোনও।
সিএএ বিরোধী রেজোলিউশন পাশ করবে আরও রাজ্য!
এদিকে কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল বলেন, 'পাঞ্জাবের পরে, আমরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যেগুলিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব আনার কথা ভাবছি। এই আইনের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা হবে।'
বিরোধীদের প্রতি অমিত শাহর চ্যালেঞ্জ
তবে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'সিএএ বিরোধী দলগুলি অপপ্রচার চালিয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। তবে যতই বিরোধিতা করুন, দেশ জুড়ে লাগু হবে সিএএ! এজন্যই বিজেপি জনজাগরণ অভিযান পরিচালনা করছে। দেশকে ভাঙ্গার বিরোধীদের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই প্রচার চালাচ্ছি আমরা। আমি বিরোধীদের বলতে চাই যে আপনার এই বিলটি নিয়ে প্রকাশ্যে আমার সঙ্গে আলোচনা করুন। যদি এটি কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিতে পারে তবে তা প্রমাণ করে দেখান আমাকে।'