অফিস অফ প্রফিট বিতর্কে মধ্যপ্রদেশের ১১৬ বিজেপি বিধায়ক! আপ-এর দাবিতে চাঞ্চল্য
অফিস অফ প্রফিট বিতর্কে এবার পাল্টা দাবি আপ-এর। দিল্লির ২০ আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে মধ্যপ্রদেশের ১১৬ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে একইরকম ব্যবস্থা নিক নির্বাচন কমিশন। দাবি করেছে আম আমদি পার্টি।

দিল্লির অনেক আগেই মধ্যপ্রদেশে অফিস অফ প্রফিট বিতর্ক তুলেছিল আপ। ২০১৬-র ৪ জুলাই ১১৬ জন বিজেপি বিধায়কের বরখাস্তের দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল আপ। এমনটাই দাবি করেছেন মধ্যপ্রদেশে আপ-এর কনভেনর অলোক আগরওয়াল। যদিও বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপালের কাছে সংবিধানের ১৯১(১)-এ ধারায় এবং ১৯২ ধারায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১-এর অধীনে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ করেছেন মধ্যপ্রদেশের ওই আপ নেতা।

মধ্য প্রদেশের ১১৬ জন বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ফের নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে আম আদমি পার্টি।
মধ্যপ্রদেশের আপ নেতা অক্ষয় হুনকা জানিয়েছেন, ২০১৬-তে প্রশ্ন তোলা বিধায়কদের প্রায় সবাই কলেজের জন ভাগদারি সমিতির সদস্য। যা অফিস অফ প্রফিট-এর অধীন বলেই দাবি আপ-এর। অভিযুক্ত বিধায়কদের কোনও বেতন না দেওয়া হলেও, কলেজগুলি থেকে তাঁরা ভ্রমণ ভাতা পেতেন বলে দাবি আপ-এর।
রাজ্যের দুই মন্ত্রী পরশ জৈন এবং দীপক যোশীও ইন্ডিয়ান স্কাউট অ্যান্ড গাইড-এ যুক্ত থেকে অফিস অফ প্রফিট-এ জড়িয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ করেছে আপ। গত কয়েক বছরে আরও অনেক মন্ত্রী জড়িয়েছেন অফিস অফ প্রফিট-এ, দাবি করেছে আম আদমি পার্টি।
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেসও আপ-এর সুরে সুর মিলিয়েছে। তারা ইন্ডিয়ান স্কাউট অ্যান্ড গাইডে যুক্ত থাকা দুই মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেছে। যদিও সরকার দাবি করেছে দুই মন্ত্রী সেখান থেকে কোনও ভাতাই নেন না।