বাড়ি ফেরার তাগিদ! দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে দিনমজুর-পুলিশ তরজা
উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে কয়েকশ দিনমজুর জমায়েত করেছে তাদের নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই দিল্লিতে আটকে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ, বিহারের কয়েক হাজার দিনমজুর। এদের মধ্যে অনেকেই পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টায় রয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়ানো আটকাতে সরকারের নির্দেশ, যে যেখানে আছে সে সেখানেই থাকুক।
পায়ে হেঁটে দিনমজুরদের বাড়ি ফেরার একাধিক ঘটনা
গোটা দেশে লকডাউন। বন্ধ সমস্ত ধরনের গণ পরিবহন। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য মঙ্গলবারই লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই রাজস্থান, গুজরাতেও পায়ে হেঁটে দিনমজুরদের বাড়ি ফেরার ঘটনা দেখা গিয়েছে।
করোনা আতঙ্কে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা সরকারের
করোনা আতঙ্কে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা সরকারের। কিন্তু যে সমস্ত গরীব মানুষ অর্থের জন্য বড় শহরে এসে কাজ করেন, তাঁরা তাঁদের গ্রামে ফিরতে শুরু করে দিয়েছেন। রাস্তা একেবারে জনশূণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সরবরাহের দোকানগুলিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পটভূমিতে, দৈনিক মজদুর ও দরিদ্র শ্রমিকরা প্রতিদিনের যোগান জোগাড় করতে সংগ্রাম করছে। কোনও সহযোগিতা কারোর থেকে না পেয়ে, হাজার হাজার শ্রমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাঁরা তাঁদের বাড়িতে ফেরত যাবেন।
রসদ জোগাড় করা আর এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে
মারণ রোগ থেকে বাঁচতে সরকারের নির্দেশ মেনে মানুষ ঘরের ভেতরই রয়েছেন। করোনা আতঙ্কে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্রাহকের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে কিন্তু লকডাউনের ঘোষণার পর এই শ্রেণীর মানুষের কাছে বেঁচে থাকার জন্য রসদ জোগাড় করা আর এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মহারাষ্ট্রেও পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার ঘটনা ঘটে
এদিকে এ ধরনের আরও এক ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রেও। যেখানে পুনের ২৬ বছরের দৈনিক শ্রমিক ১৩৫ কিমি হেঁটে তাঁর আদিবাড়ি নাগপুরের চন্দ্রপুর জেলার জাম্বে যান। তিনি পুনে থেকে নাগপুর ট্রেনেই এসেছেন, কিন্তু সরকারের লকডাউন ঘোষণার জন্য তিনি নাগপুরে আটকে পড়েন। এরপর ওই শ্রমিক কারোর থেকে সাহায্য না পেয়ে মঙ্গলবার থেকে তাঁর গ্রামের উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করেন। দু'দিন কোনও খাবার ছাড়াই তিনি হাঁটেন। এই সময় শুধু জল খেয়ে ছিলেন তিনি।