করোনাকালে কেন্দ্রীয় কোষাগারে বড়সড় ঘাটতি, আয় বাড়াতে মার্চেই ৪জি স্পেকট্রাম নিলামে সায় কেন্দ্রের
মার্চেই ৪জি স্পেকট্রাম নিলামের সিদ্ধান্ত কেন্দ্র সরকারের
জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই অবশেষে ৪জি স্পেকট্রাম নিলামে সায় দিল সরকার। বুধবারই এই সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। মোট ছ’টি ব্যান্ডের ২২৫১ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রাম নিলাম হবে বলে জানিয়ছেন যোগাযোগমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। যদিও করোনাকালের মন্দাদশার মধ্যে স্পেকট্রাম বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্রেতা পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্চেই নিলাম
সূত্রের খবর, আগামী বছর মার্চেই হবে এই নিলাম। এদিকে করোনাকালে আর্থিক মন্দার জেরে চলতি অর্থবর্ষেরর প্রথম দুই ত্রৈমাসিকেই বড়সড় জিডিপি ঘাটতির মুখোমুখি হয়েছে গোটা দেশ। পাশাপাশি জিএসটি ঘাটতিতেও জর্জরিত কেন্দ্র। কমছে অন্যান্য খাতে আয়। এমতাবস্থায় ৫জি স্পেকট্রাম বিক্রি করেই কেন্দ্রীয় কোষাগারে খানিক অক্সিজেন যোগাতে চাইছে কেন্দ্র, এমনটাই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
কত টাকা আসতে পারে কেন্দ্রীয় কোষাগারে ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মে মাসে ৫.২২ লক্ষ কোটি টাকার স্পেকট্রাম নিলামে সায় দেয় টেলিকম দফতরের ডিজিটাল কমিশন। যদিও পরবর্তীতে চড়া দরের কারণে খানিক পিছয়েও যায় একাধিক সংস্থা। তারপরেই নতুন করে দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে যদিও সমস্ত স্পেকট্রাম বিক্রি সম্ভব হয় তাহলে কেন্দ্রীয় কোষাগারে ৩.৯২ লক্ষ কোটি টাকা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বছর ঘুরতেই মেয়াদ ফুরোচ্ছে জিও-র
এদিকে বছর ঘুরতেই দেশের অধিকাংশ সার্কলে ৮০০ মেগাহার্ৎজ় ব্যান্ডের স্পেকট্রামের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রিলায়েন্স জিও-র। ১৮টি সার্কলে তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুলাই-অগস্টে। একথা মাথায় রেখেই দ্রুত নতুন স্পেকট্রাম নিলাম করতে আর্জি জানিয়েছিল রিলায়েন্স জিও। তারপরেই কেন্দ্রের তরফে প্রথম এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয় বলে খবর।
বহাল থাকছে ২০১৬ সালের শর্ত
এদিকে বর্তমান নিলামে ২০১৬ সালের শর্তই বহাল থাকবে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র। অন্যদিকে কেন্দ্র আপাতত ৫জি স্পেকট্রাম নিলামের পথে হাঁটছে না বলেই জানা যাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ হতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে ২০১৬ সালে নিলামে ৫.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও কেন্দ্রীয় কোষাগারে ঢুকেছিল মাত্র ৬৫,৭৮৯ কোটি। এদিকে করোনাকালে টেলিকম সংস্থাগুলির অবস্থা আগের থেকে আরও খারাপ। এমতাবস্থায় নিলামের ডাক দিলেও আয়ের রাস্তা কতটা প্রশস্ত হবে তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন।
মুকুল রায়ের ডানা ছাঁটার কাজ শুরু করে দিলেন দিলীপ ঘোষ, বঙ্গ বিজেপিতে অশনি সংকেত