বছরের প্রথম দিনেই একের পর এক বিপর্যয়, বৈষ্ণদেবীর পর হরিয়ানায় খনিতে ধস, মৃত কমপক্ষে ৪
বছরের প্রথম দিনেই একের পর এক বিপর্যয়, বৈষ্ণদেবীর পর হরিয়ানায় খনিতে ধস, মৃত কমপক্ষে ৪
বর্ষবরণের দিনেই একের পর এক দুর্ঘটনা গোটা দেশে। ভোররাতে বৈষ্ণোদেবীতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার পর হরিয়ানায় খনি এলাকায় বিধ্বংসী ধস। যার জেরে কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আরও অনেকে সেই ধসে চাপা পড়ে গিেয়ছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি দালাল।
সকােলই বৈষ্ণোদেবীতে ঘটেছে বড় দুর্ঘটনা। ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে পদপিষ্ট হয়ে। আহত হয়েছেন অনেকে। তারপরেই হরিয়ানায় (Haryana) একটি খনিতে ধসে বড় দুর্ঘটনার খবর পাওয়া িগয়েছে। হরিয়ানার দাদাম এলাকায় খনিতে হঠাৎই ধস নামে। তাতে কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন কমপক্ষে ধসে চাপা পড়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারকারী দল সেখান উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কিছু গাড়িও আটকে সেখানে। খনিতে উত্তলনের মেশিনগুলিও পাথরের বড় বড় চাঙরে আটকে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছেন হরিয়ানার মন্ত্রী েজপি দালাল। তিনি জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে চিকিৎসকরাও এসে পৌঁছেছেন। যত দ্রত সম্ভব আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে পাহাড় কাটতে গিয়েই দুর্ঘটনা। হরিয়ানা ভিওয়ানি জেলার তোসাম ব্লকের দাদাম এলাকায় চলছিল পাহাড় কাটার কাজ। হঠাৎ করেই পাহাড়ের একটি অংশে ফাটল তৈরি হয়। তারপরেই ধস নামতে শুরু করে বলে জানা গিয়েছে।
হরিয়ানার এই অঞ্চলে কয়লা সহ একাধিক খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা হয়। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের তরফে দাদাম খনি অঞ্চল ও খনক পাহাড়িতে খনিজ পদার্থ উত্তোলনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল দুই মাসের জন্য। গত সপ্তাহ থেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এবং শুক্রবার থেকে ফের উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। তারপরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। টুইটারে তিনি লিখেছেন, বছরের শুরুতেই এই দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। উদ্ধার প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তার দিকে নজর রাখছি। শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও।