For Daily Alerts
ফের জেলে গেলেন লালু, ২১ বছরের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলার সাতকাহন এক নজরে
শনিবার বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করল। আগামী ৩ জানুয়ারি তাঁর সাজা ঘোষণা করা হবে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় দোষীসাব্যস্ত হলেন অবিভক্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। শনিবার বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করল। আগামী ৩ জানুয়ারি তাঁর সাজা ঘোষণা করা হবে। এদিনের মামলার রায় ঘোষণার পরই তাঁকে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। নববর্ষে ফের তাঁকে কাটাতে হবে শ্রীঘরে।
১৯৯৬ সালে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় ট্রেজারির টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছিল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে তিনি একবার এই মামলায় জেলে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির সমস্ত মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। কিন্তু আবারও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর মামলায় ৮৯ লক্ষ টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগে তিনি জেলে গেলেন।
এক নজরে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে লালুপ্রসাদ যাদব
- ২৭ জানুয়ারি, ১৯৯৬ : পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় পুলিশ এফআইআর দায়ের করা হল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে।
- ১১ মার্চ, ১৯৯৬ : পটনা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার ওটে সিবিআইজ-এর হাতে। এতদিন রাজ্য পুলিশ তদজন্ত করছিল। পুলিশ সমস্ত নথিপত্র তুলে দেয় সিবিআইকে।
- ২৭ মার্চ, ১৯৯৬ : সিবিআই নতুন করে এফআইআর দায়ের করে। শুরু হয় লালুপ্রসাদ-সহ ৪৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত।
- ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৬ : সিবিআই লালুপ্রসাদ-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী চার্জশিট পেশ করে। শুরু হয় পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলা।
- জুলাই, ১৯৯৭ : চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়। অন্তর্বর্তী চার্জশিট পেশের পর সিবিআইয়ের সময়ে লেগে যায় আরও এক বছর তিনমাস।
- আগস্ট, ১৯৯৭ : পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার করা হয় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে।
- ডিসেম্বর, ১৯৯৭ : লালুপ্রসাদ জামিন পেলেন। গ্রেফতার হওয়ার পর যে শ্রীঘরে ঢুকেছিলেন, জেল থেকে বের হলেন ১৩৫ দিন পর।
- ২০০১ : এক বছর আগে বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড পৃথক রাজ্য হল। সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশে রাঁচিতে বিশেষ সিবিআই আদালতে মামলা স্থানান্তর করা হল।
- ২০০২ : রাঁচিতে সিবিআই আদালতে বিচার শুরু হল। এরপর ১০ বছর ধরে চলে মামলাটি। একে একে সমস্ত অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের জেরা
- ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ : সিবিআই আদালতে জেরা করা হল লালুপ্রসাদ যাদবকে। সেইসঙ্গে শেষ হল সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব।
- জুলাই, ২০১৩ : ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে রায় ঘোষণার জন্য নির্দেশ জারি করল ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট।
- আগস্ট, ২০১৩ : সিবিআই আদালত থেকে মামলা স্থানান্তরিত করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন লালুপ্রসাদ যাদব।
- ১৩ আগস্ট, ২০১৩ : সুপ্রিম কোর্টে লালুপ্রসাদের মামলা স্থানান্তরণের আর্জি খারিজ করে দেয়।
- ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ : ৩০ সেপ্টেম্বর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় রায় জানানোর কথা ঘোষণা করে বিশেষ সিবিআই আদালত।
- ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ : লালুপ্রসাদ যাদব, জগন্নাথ মিশ্র-সহ ৪৫ জনকে দোষীসাব্যস্থ করা হয়। সাতজনের সাজা ঘোষণা। লালুপ্রসাদসহ বাকি ৩৮ জনের সাজা ৩ অক্টোবর।
- ৩ অক্টোবর, ২০১৩ : লালুপ্রসাদসহ ৩৮ জনের সাজা ঘোষণা হয়। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ৫ বছরের জেল ও ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হয়। এই বছরই তাঁর জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট।
- ২০১৪ : লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে যে চারটি মামলায় রায় ঘোষিত হয়নি, সেগুলি থেকে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট মুক্তি দেয়।
- মে, ২০১৭ : সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের রায় খারিজ। ফের পৃথকভাবে মামলা শুরুর নির্দেশ।
- ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ : এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্র বেকসুর খালাস। আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব দোষীসাব্যস্ত। ৩ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা।
Comments
laluprasad yadav fodder scam scam bihar india লালুপ্রসাদ যাদব জেল পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি কেলেঙ্কারি বিহার ভারত cbi court সিবিআই কোর্ট
English summary
LaluPrasad Yadav in prison in the Fodder scam case at a glance.