সাংবাদিক খুন-কাণ্ডে লালুপুত্র তেজ প্রতাপকে 'ক্লিনচিট', যা জানাল সিবিআই
সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জনের হত্য়াকাণ্ডের সঙ্গে লালুপুত্র তেজপ্রতাপের যোগ নেই বলে জানিয়ে দিল ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জনের হত্য়াকাণ্ডের সঙ্গে লালুপুত্র তেজপ্রতাপের যোগ নেই বলে জানিয়ে দিল ঘটনার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ফলে এই হত্যামামলায় ক্লিনচিট পেয়ে স্বস্তি পেলেন তেজপ্রতাপ তথা লালু পরিবারের। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় এমনিতেই আপাতত কারাবন্দি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। তার সঙ্গে ছেলে তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের মামলার সঙ্গে জড়িতে থাকার অভিযোগ ঘিরে আশঙ্কার ছায়া পড়েছিল যাদব পরিবারে। তবে সিবিআই-এর এই বক্তব্য ঘিরে সেই আশঙ্কা থেকে মুক্ত লালু প্রসাদের পরিবার।
উল্লেখ্য, প্রয়াত সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জনের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ কাইফের সঙ্গে একটি ছবিতে দেখা যায় তেজপ্রতাপকে। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তেজ প্রতাপের সঙ্গে এই খুনের যোগসূত্র আছে কী না তা নিয়ে তদন্তে নামে সিবিআই। ছবি ও ভিডিও খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সুপ্রিমকোর্টে জানায় , তেজপ্রতাপের সঙ্গে এই সংস্থার কোনও যোগসূত্র নেই। ফলে এই মামলায় তেজপ্রাতাদেপ বিরুদ্ধে যাবতীয় তদন্ত বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।
এর আগে, বিহারের সিওয়ানের সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জন খুন হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী এক মামলা দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিমকোর্টে মামলার তনদন্তের বিষয়ে জানায় সিবিআই। উল্লেখ্য, এই হত্যামামলায় ধৃত তথা অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ কাইফ সিওয়ানের প্রভাবশালী ব্যক্তি তথা আরজেডি নেতা মহম্মদ শোহরাবুদ্দিনের হয়ে কাজ করত বলে অভিযোগ। শোহরাবুদ্দিনের বিশ্বস্ত শার্পস্যুটার হিসাবে পরিচিত মহম্মদ কাইফের নাম বার বার উঠে এসেছে এই মামলায়।