নীতীশকে তাড়া লালুপ্রসাদ যাদবের, বিহারে ভোটের ময়দানে ভূত দেখা পরিস্থিতি জেডিইউর
১৫ বছর পর ফের বিহারের মসনদ দখলের স্বপ্ন দেখছে আরজেডি। মাঝে ক্ষণিকের জন্য ক্ষমতায় এলেও তা ছিল নীতীশের ছত্রছায়ায়। তবে এবারে নীতীশকে হটিয়ে বাবার হারের প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত তেজস্বী যাদব। তবে নিজের গদি বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া নীতীশ কুমারও। তবে এরই মাঝে যে নীতীশকে তাড়া করে বেরাচ্ছে লালুপ্রসাদের ভূত।

নীতীশের জনসভায় উঠল 'লালু যাদব জিন্দাবাদ' স্লোগান
যেখানে একদিকে তেজস্বীর ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করছে তাঁর জনসভায়। সেখানে নীতীশের জনসভায় উঠল 'লালু যাদব জিন্দাবাদ' স্লোগান। এবং এরপরই রাগে ফুঁসতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ। ১৫ বছরের শাসনকাল যেন চোখের সামনে শেষ হতে দেখছেন তিনি।

ভোট ভিক্ষা চাইতে গিয়ে অসম্মানিত নীতীশ কুমার
এদিন জেডিইউ প্রার্থী তথা প্রাক্তন আরজেডি নেতা চন্দ্রিকা রাইয়ের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রাসেদর খাশ মানুষ বলে পরিচিত ছিলেন এই চন্দ্রিকা। এহেন নেতার ভোট ভিক্ষা চাইতে গিয়েই অসম্মানিত হতে হল নীতীশকে। জনসভায় উঠল লালু বন্দনার স্লোগান। যার জেরে রেগে গিয়ে ধমক দিতে শোনা গেল নীতীশ কুমারকে।

নীতীশকে এই ঘটনার পর যা বলতে শোনা যায়
এদিন নীতীশকে এই ঘটনার পর বলতে শোনা যায়, 'যে এই ছাইপাঁশ বকছেন, তিনি দয়া করে হাত তুলুন।' এরপরই জনসভায় উপস্থিত জমায়েত থেকে কেউ একজন লালুকে কটাক্ষ করে চিল্লিয়ে ওঠে, 'চারা চোর।' এরপর নীতীশের মন ফের কিছুটা ঠান্ডা হয়। তবে তাঁর চোখে তখনও দেখা যাচ্ছিল অপমানিত হওয়ার চিহ্ন।

তেজস্বীর চালে কাত নীতীশ
এরপর নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে নীতীশ বলেন, 'শুনুন, আমাকে ভোট দিতে না হলে দেবেন না। কিন্তু যাঁর (চন্দ্রিকা রাই) জন্য এসেছেন তাঁর ভোট এবং সম্মান নষ্ট করবেন না।' তবে এই ঘটনা যে নীতীশকে ভাবিয়ে তুলবে তা বলাই বাহুল্য। ভোট ময়দানে লালু নেই। রয়েছে তাঁর ছেলে তেজস্বী। তাঁকে সামলাতেই বর্তমানে কালঘাম ছুটছে নীতীশের। এই পরিস্থিতিতে লালুর ভূত ফের তাড়া করলে নীতীশ পালাবেন কোথায়। নাকি বুড়ো হাড়ে শেষ ভেল্কিটা বাঁচিয়ে রেখেছেন এখনও। এর জবাব অবশ্য সময়ই বলবে।
তেজস্বীর ১০ লক্ষ চাকরির 'টার্গেট' তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট নীতীশ