ভোটের মুখে লালুর পরিবারে ধাক্কা! দলের সব পদে ইস্তফা বড় ছেলের
ফের সরগরম বিহারের রাজনীতি। তবে জাতীয় নির্বাচনের মুখে প্রথম বলা যেতেই পারে। সব থেকে বড় কথা হল উত্তাপ লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারে।
ফের সরগরম বিহারের রাজনীতি। তবে জাতীয় নির্বাচনের মুখে প্রথম বলা যেতেই পারে। সব থেকে বড় কথা হল উত্তাপ লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারে। আরজেডি প্রধানের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব টুইট করে দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
টুইটে
তেজপ্রতাপ
লিখেছেন,
আরজেডির
ছাত্র
সংগঠনের
পদ
থেকে
তিনি
ইস্তফা
দিচ্ছেন।
বেশ
কিছুদিন
ধরেই
পরিবার
ও
দলের
ওপর
অসন্তুষ্ট
তেজপ্রতাপ।
মূলত
ভাইয়ের
সঙ্গে
ইগোর
লড়াই
চলছে।
ভাই
তেজস্বী
যাদব
বর্তমানে
রাজ্যের
বিরোধী
দলনেতা।
লালুপ্রসাদ
যাদব
তাকেই
রাজনৈতিক
উত্তরাধিকারী
বলে
পছন্দ
করেন।
অন্য একটি সূত্রের খবর, পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন শ্বশুর চন্দ্রিকা রাইকে ছাপড়া আসন থেকে টিকিট দেওয়া অন্যতম কারণ। কিন্তু লালু যাদব এবং তেজস্বী যাদব চন্দ্রিকা রাইকেই চেয়েছেন। যিনি আটবারের বিধায়ক বটে। কিন্তু ডিভোর্স মামলা দায়ের করা তেজপ্রতাপ এর ঘোরতর বিরোধী।
তবে
তেজপ্রতাপের
সমালোচকরা
তাঁকে
মনোযোগ
আকর্ষণকারী
বলে
অভিযুক্ত
করেছেন।
তিনি
ভোজপুরি
সিনেমায়
অভিনয়ও
করেন।
উৎসবের
সময়ে
কৃষ্ণের
ভূমিকায়
তাঁকে
অভিনয়
করতেও
দেখা
যায়।
২০১৫ সালে যখন বিহারে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেড এবং আরজেডির সরকার ক্ষমতায় আসে সেই সময় তেজস্বীকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। কিন্তু তেজপ্রতাপকে করা হয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দলে তেপপ্রতাপ বদমেজাজি বলে পরিচিত। কিন্তু তেজপ্রতাপ তা নন, ফলে পছন্দের তালিকায় তিনিই এসে পড়েন।
তবে রাজ্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একাংশের মতে, দলের রাজনীতিতে চাপ তৈরি করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেজপ্রতাপ।