এই কারণে মুক্ত কারাগারে যেতে চান না পশু খাদ্য মামলায় অভিযুক্ত লালু যাদব
রাঁচির সিবিআই আদালতের বিচারক শিবপাল সিং চাইলেও, লালু যাদব মুক্ত কারাগারে থাকতে চাইছেন না। রাষ্ট্রীয় জনতাদলের তরফ থেকে এর পিছনে বেশ কিছু কারণ দেখানো হয়েছে।
রাঁচির সিবিআই আদালতের বিচারক শিবপাল সিং চাইলেও, লালু যাদব মুক্ত কারাগারে থাকতে চাইছেন না। রাষ্ট্রীয় জনতাদলের তরফ থেকে এর পিছনে বেশ কিছু কারণ দেখানো হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের দুমকায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে পশুখাদ্য সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলার সময়, বিষয়টি সামনে আসে। ৬৯ বছর বয়সী লালু যাদব, রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে থাকার শর্ত নিয়ে তাঁর মনোভাব প্রকাশ করেন।
এর আগে একাধিকবার জেলে গিয়েছেন লালু যাদব। সেই সময় জেলে তিনি মুক্ত অবস্থায় ছিলেন কিংবা জেলকেই গেস্ট হাউসের রূপ দেওয়া হয়েছিল। মামলায় রায়দানকারী বিচারক শিবপাল সিং লালু প্রসাদ যাদবকে জানিয়েছেন, তিনি জেল ম্যানুয়ালের বিরুদ্ধে যেতে পারেন না।
বিচারক জানিয়েছেন, মুক্ত কারাগারে নিজের পরিবারের সঙ্গেও থাকতে পারবেন, সেইজন্য রাঁচি থেকে ১৫০ কিমি দূরে থাকা হাজারিবাগের মুক্ত কারাগারে লালুপ্রসাদ যাদবকে রাখার সুপারিশ করেছিলেন। ২০১৩ সালে এই জেলটিকে চালু করা হয়েছিল, নকশাল এবং অন্য মামলায় বিচারাধীনদের জন্য, যাঁরা অস্ত্র তুলে রেখেছেন এবং মূল স্ত্রোতে ফিরে আসতে চান, তাঁদের জন্য। বন্দিদের জন্য সেখানে ১০০ টি কটেজ রয়েছে। বন্দিরা সেখানে তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারেন।
কিন্তু বিচারকের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানান লালু যাদব। তিনি বলেন, মুক্ত কারাগারে চালু আইন দেখার অনুরোধ করেন। সেখানে লেখা আছে, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ৫ বছরের বেশি সময়ের জন্য জেলে থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছে, একমাত্র তাঁরাই মুক্ত কারাগারে থাকতে পারেন। তবে অবশ্যই বন্দিদের অনুমতি নিতে হবে।
একাধিকবার আদালতে শুনানি চলার সময় লালুপ্রসাদ যাদব বলেছেন, তিনি একজন আইনজীবী। এমন কী সুপ্রিমকোর্টে প্র্যাকটিস করার জন্য তাঁর নাম নথিভুক্ত রয়েছে।
বিষয়টিতে রাজনৈতিক সমস্যাও রয়েছে। আরজেডি প্রধান বলেছেন, তিনি জনপ্রিয় নেতা। বিচারক যদি তাঁকে সরানোর চেষ্টা করেন, তাহলে লক্ষ মানুষ তাঁকে সঙ্গ দিতে মুক্ত কারাগারে যাবেন।
যদিও বিচারক পাল্টা বলেন, তিনি সমস্যার সমাধান করে দেবেন। প্রশাসনকে বলবেন, সমর্থকদের লালুর কাছে যেতে বাধা দিতে। লালু যাদবকে তিনি বলেন, মুক্ত কারাগারে যান এবং সমর্থকদের থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন।
একই বিচারক গত সপ্তাহে লালু যাদবকে দেওঘর জেলার পশু খাদ্য মামলায় ৩.৫ বছরের জন্য কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন।