তেজস্বীর পিচ তৈরি করে দিতে ঘুঁটি সাজিয়েছেন স্বয়ং লালু! বিহারে এবার নয়া 'যাদব' রাজ
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে চলেছেন তেজস্বী যাদব। আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে যৌথ ভাবে লড়াই করবে আরজেডি। কংগ্রেস, আরজেডি, আরএলএসপি এবং বাম দলগুলোর সঙ্গে যৌথ ভাবে লড়াই করবে জেডিইউর এর জোট সরকারের বিরুদ্ধে।
শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল মহাজোট
তবে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল মহাজোট। আসনরফা নিয়ে আরজেডি-কংগ্রেস বিবাদ উঠএছিল তুঙ্গে। কংগ্রেসকে ৬০ টির বেশি আসন দিতে সহমত ছিলেন না আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ। অন্যদিকে সিপিআইএমএল ৩০ আসন চেয়ে পেয়েছে ১৫ টি। তবে সব বিতর্ক দূরে সরিয়ে রেখে মহাজোটের তরফে জানানো হল, বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব।
লালু প্রসাদ যাবদের নির্দেশ
জেলবন্দি লালু প্রসাদ যাবদ ছেলে তেজস্বীকে জানিয়ে রেখেছিলেন মহাজোটের আসন রফায় যেন বিহারে তাঁর দল ১৫০ টি আসনে লড়ে। রাজ্যে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১৪৪ টিতে। তাঁদের জোটশরিক কংগ্রেসকে দেওয়া হয়েছে ৭০ টি আসন। বাম দলগুলি লড়বে ২৯ আসনে। আরজেডির ১৪৪টি আসনের মধ্যে কয়েকটি ছেড়ে দেওয়া হবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকে। তবে সিপিআইএমএল এবং ভিআইপি দলের সঙ্গে আসন রফা সম্ভব হয়নি। এবং সেই দলগুলি জোটে না থাকলে আরজেডিরই সুবিধা, কারণ, তাহলে তারা বেশি আসনে লড়তে পারবে।
ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে কী হবে?
ত্রিশঙ্কু ফলাফল হলে কংগ্রেসের বিধায়করা নীতীশ-বিজেপির এনডিএ শিবিরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা আরজেডির শীর্ষ নেতৃত্বের। তাই বেশি সংখ্যক আসনে লড়তে চায় তেজস্বী যাদবরা। কারণ, এরকম ক্ষেত্রে দলের বিধায়করা অধিকাংশ সময়ে জোট ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছেন। এই কারণেই শরিকদের সঙ্গে বেশি আপসে যাবে না আরজেডি।
ঘুঁটি সাজিয়ে চলছে কাজ
এরই মাঝে কয়েকদিন আগেই খবরের শিরোনামে ছিলেন তেজস্বী যাদব। পার্টির হোর্ডিং থেকে সরিয়ে দিয়েছে পিতা লালু প্রসাদ যাদবের ছবি। এই নতুন হোর্ডিং বিহারের রাজধানী পাটনার বিভিন্ন জায়গায় বসানোও হয়েছে। আদতে এটি লালুরই চাল। নিজের ছেলের জন্যে পরবর্তীতে ময়দান তৈরি করে দিতে উদ্যত হয়েছেন লালু। সেই মতোই ঘুঁটি সাজিয়ে চলছে কাজ।
নয়া সোচ, নয়া বিহার, যুব সরকার
প্রসঙ্গত, এর আগে নীতীশ কুমারের ক্যাবিনেটে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলেছিলেন তেজস্বাী যাদব। তবে এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী। তরুণ প্রসৃজন্মের এই নেতা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রবীণ নীতীশ কুমারকে। ইঙ্গিতবহ ভাবে এবার আরজেডির স্লোগান, নয়া সোচ, নয়া বিহার, যুব সরকার আবকি বার।