বিহারে 'বিজেপি ম্যাজিক' ঠেকাতে সংযুক্ত জনতা দল সরকারকে সমর্থন লালুর
আগামী বছর নভেম্বরে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হবে। দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, তাই তার আগে অঙ্ক কষে হিন্দুত্ব বিরোধী জোট গড়ে বিজেপিকে নয়া চাল দিতে চাইছে বিহারের এই দুই শক্তিশালী জনতা দল। প্রায় এক সপ্তাহ এবিষয়ে আলোচনা চলার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় জনতা দল সংযুক্ত জনতা দলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে।
এতদিন যা পরিস্থিতি ছিল তাতে এক ঘাটে জল খাওয়া তো দূর অস্ত, এক দল যে পথে যেত, অন্য দল সে পথও মারাত না। এই দুই জনতা দলের বিরোধিতা বা বলা ভাল লালু-নীতিশের আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক কারও অজানা ছিল না। কিন্তু বিজেপিকে ঠেকাতে জনতা দলের একত্রীকরণ অত্যন্ত প্রয়োজন সে কথা আঁচ করতে পেরেই এবর পুরনো শত্রুতা ভোলাতে চাইছে এই দুই জনতা পরিবার।
বিহারে জনতা পরিবারকে আরও শক্তিশালী করতে এবার অন্যান্য অনগ্রসর জাতিগুলিকেও নিজেদের দলে টানতে চাইছে আরজেডি ও জেডি(ইউ)। এদের মধ্যে রয়েছে মহাদলিত এবং মুসলিম সম্প্রদায়। মোট জনসংখ্যার তিন চতুর্থাংশই জুড়ে রয়েছে এই দুই সম্প্রদায়।
এদিকে সম্প্রতি শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে বিহারে বাকিদের ধুয়ে মুছে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মহাজোট থাকলে নির্বাচনে মোট ভোটের ৪৯ শতাংশ ভোট পেতে পারত তারা। কিন্তু এই নির্বাচনে আলাদা থেকে যুদ্ধ করার ফলে এই ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির ভোট ভাগ যেখানে ২৯ শতাংশ সেখানে বিজেপির জোট সঙ্গীরা পেয়েছে ৯ শতাংশের কিছু বেশি ভোট।
বিধানসভার চিত্রটা বর্তমানে যা তা হ ল, ২৩৭টি আসনের মধ্যে সংযুক্ত জনতা দলের রয়েছে ১১৫ জন, বিজেপির ৮৭ জন, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ২১ জন বিধায়ক। চার কংগ্রেস, ১ সিপিআই ও ২ নির্দল বিধায়কের সমর্থন রয়েছে সংযুক্ত জনতা দলের সঙ্গে। আপাতত জোটে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেও বাইরে থেকে সংযুক্ত জনতা দলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়ে জনতা পরিবারের শক্তি বাড়াল আরজেডি।