সিবিআই-র পর এবার ইডি-র জালে লালু, এবার কোন মামলায় জানুন
সিবিআই-এর পর এবার ইডি-ও লালুপ্রসাদ যাদব ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করল। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বেআইনিভাবে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে।
নীতীশের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতেই নতুন করে বিপাকে পড়লেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন একটি সংস্থাকে বেআইনিভাবে রেলের হোটেলর টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে লালু ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
[আরও পড়ুন: লালু, রাহুলকে উচিত জবাব দেবেন নীতীশ, কিন্তু কবে ]
চলতি মাসের গোড়াতেই এবিষয়ে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ভুয়ো সংস্থার নামে লালু কীভাবে আর্থিক তছরূপ করেছেন ও পরিবর্তে কী সুবিধে পেয়েছেন, তারই তদন্ত করবে ইডি। সেক্ষেত্রে ইডি বিতর্কিত সম্পত্তি ও অর্থ বাজেয়াপ্ত করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ৩২ কোটি টাকা মূল্যের একটি তিন একরের জমি মাত্র ৫৪ লক্ষ টাকায় পেয়েছিলেন আরজেডি সাংসদ লালু প্রসাদ যাদব। তার বদলে বেআইনিভাবে রেলের দুটি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থারকে তিনি টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে শুক্রবার অভিযোগ করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন আইনে গত ৫ই জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।
সিবিআই-এর অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০১৪-র মধ্যে ষড়যন্ত্র করে পুরী ও রাঁচিতে রেলের দুটি হোটেলেকে আইআরসিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই ওই দুটি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সুজাতা হোটেলসের হাতে। টেন্ডারে কারচুপি করেই এই হোটেল গোষ্ঠীকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রাকেশ আস্থানা। পরিবর্তে পাটনায় ডিলাইট মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেডের নামে তিন একর জমির প্লটের রেজিস্ট্রেশন হয়। এই সংস্থাটি লালুপ্রসাদের ঘনিষ্ঠ সরলা গুপ্তার বলে জানা গিয়েছে। এরপর ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এই জমিটি ফের লারা প্রোজেক্টসের নামে রেজিস্ট্রশন হয়। এই সংস্থাটি লালুর পরিবারের বলেই জানিয়েছে সিবিআই। সেসময়ে ওই জমির সরকারি দাম ছিল ৩২ কোটি টাকা। কিন্তু লারা প্রোজেক্টসকে ওই জমি দেওয়া হয় মাত্র ৫৪ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: নীতীশকে সুবিধাবাদী তকমা রাহুলের, স্বমেজাজেই নীতীশের মুণ্ডপাত করলেন লালুও]