মোদীর স্বপ্নের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে অর্থ 'নয়ছয়'! ভুয়ো দাবিদারদের হাতে কোটি কোটি টাকা
মোদীর স্বপ্নের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে অর্থ 'নয়ছয়'! ভুয়ো দাবিদারদের হাতে কোটি কোটি টাকা
যে প্রকল্প নিয়ে দেশের শাসক বিজেপি তাদের সাফল্য দাবি করে, সেই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পে (PM Kisan scheme) ব্যাপক সংখ্যায় জাল উপভোক্তা থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে সারা দেশে কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বছরে প্রত্যেক কৃষককে ৬০০০ টাকা দিয়ে থাকে।
প্রকল্পে ৪ শতাংশ উপভোক্তা সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নয়
২০১৮ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের জন্য অনুসন্ধান চালায় কৃষিমন্ত্রক। স্যাম্পেল পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ১২ লক্ষ উপভোক্তা, মোটের হিসেবে ৪%-এর মতো এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়। তবে সারা দেশে উপভোক্তার সংখ্যা ১০ কোটি হয়, তাহলে তার মধ্যে ৪০ লক্ষ এই সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নয়। অর্থের নিরিখে যার পরিমাণ বছরে প্রায় ২৪০০ কোটি টাকার মতো। কুশ শর্মার করা আরটিআই-এর জেরে এই তথ্য সামনে এসেছে।
শীর্ষে রয়েছে অসম
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অসমে ১.৬১ লক্ষ সুবিধাভোগী। এর মধ্যে অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৬ শতাংশ অর্থাৎ ২৬,০১৯ জন এই প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নন। অন্ধ্রপ্রদেশে ২.২৪ লক্ষ সুবিধাভোগীর মধ্যে ১২,২৯১ জন সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নন। মহারাষ্ট্রে ১.৬৪ লক্ষ সুবিধাভোগীর মধ্যে ২৪৫০ জন সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত নন।
যাচাই পর্ব সঠিক না হওয়ার অভিযোগ
কৃষিমন্ত্রকের তরফে সব রাজ্যকেই কৃষকদের যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থানকে বাদ দিয়ে আর কোনও বড় রাজ্য এব্যাপারে যাচাই-এর রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দেয়নি। সেই তালিকায় রয়েছে বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ এবং ভোটে যাওয়া বিহারও। বেশিরভাগ রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে গিয়েই তাদের পরিস্থিতি খারাপ। সেই পরিস্থিতিতে ভেরিফিকেশন করা তাদের পক্ষে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বেড়েছে প্রকল্পের আয়তন
২০১৮-তে যখন এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল সেই সময় বলা হয়েছিল ২ হেক্টর পর্যন্ত যাঁদের জমি রয়েছে, সেই সব কৃষককে বছরে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর ২০১৯-এর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলা হয় দেশের সব কৃষকই এই সাহায্য পাবেন। ফলে দেশের প্রায় ১৪.৫ কোটি কৃষকের এই সুবিধা পাওয়ার কথা। সরকারি ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে ১১.১৭ কোটি কৃষক এই সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রকল্পের দাবিদার হওয়ার সংজ্ঞায় সমস্যা
প্রশ্ন
উঠছে
তাহলে
কি
এই
প্রকল্পের
দাবিদার
হওয়ার
সংজ্ঞায়
সমস্যা
তৈরি
হয়েছে?
প্রকল্পের
সংজ্ঞায়
বলা
হয়েছে,
একটি
পরিবার,
স্বামী,
স্ত্রী
এবং
ছোট
শিশু
যাঁদের
জমি
রয়েছে,
রাজ্য
ও
কেন্দ্রশাসিত
অঞ্চলে।
বর্তমান
জমির
মালিকানার
ভিত্তিতে
সুবিধা
পাওয়ার
কথা।
২০১৯-এর
জুন
পরবর্তী
সময়ে
সুবিধা
প্রাপকদের
তালিকা
থেকে
বেশ
কয়েকটি
ক্ষেত্রকে
বাদ
দেওয়া
হয়।
তালিকা
থেকে
যাঁদের
বাদ
দেওয়া
হয়েছিল,
তাঁদের
মধ্যে
ছিলেন,
যাঁরা
সাংবিধানিক
পদে
রয়েছেন,
বর্তমান
মন্ত্রী,
লোকসভা,
রাজ্যসভা,
বিধানসভায়
প্রাক্তন
ও
বর্তমান
সদস্য-সহ
অনেককেই।
এছাড়াও
সরকারি
কর্মী,
পেনশনার
যাঁরা
মাসে
১০
হাজার
টাকার
ওপরে
পেনশন
পান
তাঁদেরকেও
এই
তালিকা
থেকে
বাদ
দেওয়া
হয়।
এছাড়াও
আগের
অর্থবর্ষে
যাঁরা
আয়কর
দিয়েছেন,
তাঁদেরকেও
তালিকা
থেকে
বাদ
দেওয়া
হয়।
স্পষ্ট
করে
বলে
দেওয়া
হয়,
চিকিৎসক,
ইঞ্জিনিয়ার,
আইনজীবী
চাটার্ড
অ্যাকাউন্ট্যান্টরাও
এই
তালিকার
বাইরে
থাকবেন।
সিবিআই তদন্ত চলবে কার নজরদারিতে? হাথরাস কাণ্ডে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের