লখিমপুরকাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শীর নিরাপত্তা ইস্যুতে যোগী সরকারকে বড়সড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
লখিমপুরকাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শীর নিরাপত্তা ইস্যুতে যোগী সরকারকে বড়সড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
লখিমপুরকাণ্ডে গোটা ঘটনার যাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী তাঁদের গায়ে যেন একটিও আঁচ না পড়ে, তার ভার এদিন কার্যত দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। এদিন যোগী রাজ্যের প্রশাসনকে সুপ্রিম কোর্ট সাফ নির্দেশে জানিয়েছে, লখিমপুরকাণ্ডে প্রত্যক্ষদর্শীর নিরাপত্তা যেন সুনিশ্চিত করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সাক্ষীদের যাবতীয় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার কথা এদিন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, লখিমপুর খিরিতে চার কৃষক সহ মোট ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে মাঝে বহু সপ্তাহ। এখনও মামলায় অভিযুক্তদের নিয়ে বহু আইনি পদক্ষেপ চলছে। এদিকে, এরই মাঝে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানানো হয়েছে , যে ঘটনার দিন যাঁরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে থেকে যাঁরা প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন, তাঁদের নিরাপত্তায় যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে যায়। আদালত এদিন জানিয়েছে লখিমপুর খিরির মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৮ নভেম্বর। উল্লেখ্য, অক্টোবর ৩ তারিখে এই ঘটনার জেরে সারা দেশে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর গ্রামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র সফরে গিয়েছিসেন। সেই সময় একটি গাড়ির চাকার নিচে পিষে ৪ জন বিক্ষোভরত কৃষকের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। তুঙ্গে ওঠে ঘটনার জেরে প্রতিবাদ। দেশের কৃষক সমাজের সঙ্গে গর্জে ওঠে বিভিন্ন মহল। অভিযোগের আঙুল ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে। তাঁকে এই ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে। এরপরই এদিন সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সামনেই উত্তর প্রদেশে ২০২২ সালে ভোট রয়েছে। তার আগে লখিমপুরের ঘটনায় রীতিমতো বিপর্যস্ত পরিস্থিতি হয় বিজেপির। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। ঘটনার জেরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর পদত্যাগ দাবি করা হয়। পরবর্তীকালে তাঁকে পদত্যাগ করতে দেখা যায়নি। এদিকে এই ইস্যুতে সরব হয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লখিমপুর খিরি যেতেই তাঁকে প্রথমে পথ আটকায় পুলিশ। যদিও পরবর্তীকালে তিনি ও রাহুল গান্ধী ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেেখা করে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রদান করেন কংগ্রেসের তরফে। এদিকে, মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ঘোষণা করেছে যোগী সরকারও। তবে গোটা ঘটনার জেরে রীতিমতো তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয় উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির অলিন্দে। পরবর্তী পর্যায়ে পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেদিকে তাকিয়ে দিল্লির রাজনীতিও। এদিকে দরিদ্র কৃষক পরিবারের সদস্যরা কাঙ্খিত ন্যায় পান কি না তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।