রাতারাতি গোলাপী হয়ে গেল হ্রদের জল, ঘুম ছুটেছে বিজ্ঞানীদের, দেশে ঘটতে চলেছে কোন অঘটন
রাতারাতি গোলাপী হয়ে গেল হ্রদের জল, ঘুম ছুটেছে বিজ্ঞানীদের, দেশে ঘটতে চলেছে কোন অঘটন
করোনা সংক্রমণের মধ্যে জেগে উঠেছে প্রকৃতি। একের পর এক বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে শুরু করে রাস্তায় বন্য প্রাণীর ঘুরে বেড়ানো। অনেক রকম কাণ্ড ঘটছে। লকডাউনের জেরে দূষণ মুক্ত হয়েছে ধরা। এরই মধ্যে আবার অবাক কাণ্ড ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। রাতারাতি গোলাপী হয়ে যাচ্ছে হ্রদের জল। এই কাণ্ড দেখে উদ্বেগে বিজ্ঞানীরাও।
গোলাপী হ্রদের জল
করোনা সংক্রমণে মধ্যে একের পর এক প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ড ঘটছে গোটা বিশ্বে। মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লুনার লেক। মুম্বই থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। করোনা সংক্রমণের কারণে গত কয়েকমাস ধরে এখানে থমকে গিয়েছে পর্যটন শিল্প। সেই সুযোগে জেগে উঠেছে প্রকৃতি। গোলাপী হয়ে গিয়েছে হ্রদের জল। রাতারাতি এই কাণ্ড দেখে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
উদ্বেগে বাসিন্দারা
রাতারাতি কেন হ্রদের জল গোলাপী হয়ে গেল তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে উল্কাপােতর কারণে তৈরি হয়েছিল হ্রদটি। জলে অক্সিেজনের পরিমাণ কম রয়েছে। এবং লবন বেশি রয়েছে। বেশকিছু জলজ উদ্ভিত রয়েছে হ্রদে। প্রায় দেড় কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এই এই হ্রদ দেখতে প্রতিবছর অসংখ্য পর্যটকরা এসে হাজির হয়। বিজ্ঞানীরাও দেখতে আসেন।
গোলাপী জল কেন
স্থানীয় হ্রদ সংরক্ষণ কমিটি অবশ্য দাবি করেছে হ্রদ সংরক্ষণ কমিটির। জলজ উদ্ভিদ এবং লবনাক্ত জলের কারণেই জলের রং বদলে যাচ্ছে। ইরানে এরকমের একটি হ্রদ রয়েছে বলে দাবি করেছে। গত কয়েক বছর এখানে কোনও বৃষ্টি হয়নি। সেকারণেই আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
প্রাকৃতিক কারণেই এই রং পরিবর্তন
ঔরঙ্গাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন প্রাকৃতিক কারণেই এই রং বদল। তবে কেন এবং কী কারণে এই পরিবর্তন সেটা এখনও জানা যায়নি। লকডাউনের কারণে পরিবেশ যেভাবে পরিশুদ্ধ হয়ে উঠেছে সেকারণেই একাধিক প্রকৃতিক পরিবর্তন দেখা দিচ্ছে।
সূর্যগ্রহণ ২১ জুন : জানুন কোন সময়ে , কোন জায়গা থেকে দেখা যাবে এই গ্রহণ