যোগীর রাজ্যে স্কুলের শৌচাগার সংকট, ঋতুকালীন সময়ের জন্য ছুটি চাইলেন শিক্ষিকারা
যোগীর রাজ্যে স্কুলের শৌচাগার সংকট, ঋতুকালীন সময়ের জন্য ছুটি চাইলেন শিক্ষিকারা
বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশেই প্রশ্ন উঠল মোদী সরকারের স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে। মহিলা শিক্ষিতাকা ঋতুকালীন সময়ের জন্য ছুটি চেয়ে বসেছেন। কারণ হিসেবে তাঁরা দেখিয়েছেন স্কুলে একেবারেই নেই ঠিক মতো শৌচাগার। যার কারণে তাঁদের এই সময়ে প্রবল সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলে। কাজেই এই সময় তাঁদের পক্ষে ক্লাস করানো এবং দীর্ঘক্ষণ স্কুলে থাকা প্রায় অসম্ভব বলে দাবি করেছেন মহিলা শিক্ষিকাদের সংগঠন। এই দাবি নিয়ে তাঁরা উত্তর প্রদেশে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দরবার করেছেন পর্যন্ত।
শৌচাগার সংকট
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গোটা দেশে স্বচ্ছ ভারত অভিযান। এবং শৌচাগার নির্মাণে জোর দিয়েছিলেন। শৌচাগার নির্মাণের জন্যও টাকাও দিচ্ছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই প্রকল্পের প্রায় ৫ বছর পরে যোগীর রাজ্যে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। উত্তর প্রদেশের সরকারি স্কুলগুলিতে নেই সঠিক শৌচাগার। এই নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলা শিক্ষিকারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন এতদিন পরেও স্কুলে মহিলা শিক্ষিকাদের জন্য সঠিক শৌচাগার নেই। যার কারণে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
ঋতুকালীন ছুটি দাবি
মহিলা শিক্ষিকাদের সংগঠন উত্তর প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী সঙ্গে সাক্ষাত করে তাঁদের শৌচাগার সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তাঁরা সেকারণে ঋতুকালীন সময়ের জন্য তিনদিন ছুটি দাবি করেছেন। শিক্ষা দফতরেও এই দাবি জানিয়ে আবেদন করেছেন তাঁরা। যাতে সকলের কানে এই সমস্যার কথা ওঠে সেকারণে তাঁরা রাস্তায় নেমে নিজেদের দাবি নিয়ে প্রচারও শুরু করেছেন। উত্তর প্রদেশের মহিলা িশক্ষক সংঘের এই আন্দোলন বেশ সাড়া ফেলেছে রাজ্যে। ৭৫টি জেলার শিক্ষিকাদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সংগঠন। ভোটের মুখে সরকারি স্কুলে শৌচাগার পরিকাঠামো নিয়ে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে যোগী সরকারের যে অস্বস্তি বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
কঠিন পরিস্থিতি শিক্ষিকাদের
প্রত্যন্ত গ্রামে শিক্ষকতা করতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে শিক্ষিকাদের। সেই সব কঠিন পরিস্থিতির কথা জানিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। সংগঠনের সভানেত্রী সুলোচনা ময়ুরা জানিয়েছেন, রাজ্যের বেশিরভাগ সরকারি স্কুলে ২০০ থেকে ৪০০ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শৌচাগার ভাগ করে নিতে হয় শিক্ষিকাদের। সেটা পরিস্কারের নাম গন্ধ স্কুল কর্তৃপক্ষ করে না। মাসে এক কি দুবার পরিষ্কার করা হয়। কোথাও সেটাও হয়না। অধিকাংশ শিক্ষিকাই বিকোলাইয়ের শিকার হন। অনেক স্কুলে আবার শিক্ষিকারা মাঠে গিয়ে শৌচকর্ম করতে বাধ্য হন। এতটাই নোংরা থাকে স্কুলের শৌচাগার।
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যাই বেশি
সংগঠনের প্রধান জানিয়েছেন অধিকাংশ প্রাথমিক স্কুলে মহিলা শিক্ষিকার সংখ্যা বেশি। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ প্রাথমিক স্কুলে পড়ান মহিলা শিক্ষিকারা। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পেরিেয় প্রত্যন্ত গ্রামে গিেয় পড়াতে হয় তাঁদের। শিক্ষক সংগঠন শিক্ষিকাদের এই প্রাথমিক সমস্যার বিষয়টি গুরুত্বই দেয়না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি সেকারণেই মহিলা শিক্ষিকারার নিজেদের সংগঠন খুলতে বাধ্য হয়েছেন। ভোটের আগে যোগীর রাজ্যে স্কুলের শৌচাগারের এই কঠিন পরিস্থিতি প্রকাশ্যে এসে পড়েছে তাঁদের আন্দোলনের জেরে