নিজের ধর্ষকের সঙ্গেই লিভ-ইন মহিলা চিকিৎসকের, তারপর যা হল তার জন্য প্রস্তুত ছিল না কেউই
নিজের ধর্ষকের সঙ্গে লিভ ইন করার পর শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন মহিলা চিকিৎসক। রেখে গেলেন দুই মেয়ে ও একটি সুইসাইড নোট।
যাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর সঙ্গেই লিভ ইন করতেন জবলপুরের লেডি এলগিন হাসপাতালের চিকিৎসক শুভ্রা রাজ। কিন্তু তার পর যা ঘটল তার জন্য প্রস্তুত ছিল না কেউই। গত রবিবার সন্ধেয় হঠাৎই তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় তাঁরই দুই মেয়ে। উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট যাতে লেখা, আমি চরিত্রহীন নই।
কী ঘটেছিল শুভ্রা রাজের জীবনে
কয়েক বছর আগে পেশায় চিকিৎসক স্বামী অশোক বিদ্যার্থীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শুভ্রার। দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি আলাদা থাকতে শুরু করেন। এরপর গত বছরই চিকিৎসক আশিস রাজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন শুভ্রা। কিন্তু নিজেদের মধ্যেই বিষয়টি মিটমাট হয়ে যাওয়ার পর মেয়েদের নিয়ে আশিস রাজের ধন্বন্তরিনগরে সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন শুভ্রা।
গত রবিবার বিকেলে দুই মেয়েকে বাইরে থেকে ঘর বন্ধ করে খেলতে পাঠিয়ে দেন শুভ্রা। রাত ৮টা নাগাদ মেয়েরা ফিরে এসে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। পুলিশ এসে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। তাতে লেখা, আমি বিধ্বস্ত মহিলা, কিন্তু আমি চরিত্রহীন নই। অশোকের পর আশিস ছাড়া আর কারও সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। যদি অশোক মনে করেন, তাহলে নিজের মেয়েদের তাঁর কাছে রাখতে পারেন।
কী কারণে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন শুভ্রা?
পুলিশের অনুমান, বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । নিজের ধর্ষকের সঙ্গে লিভ ইন করায় সমাজের অবজ্ঞার মুখোমুখিও হতে হয় তাঁকে। শুনতে হয় অনেক কটু কথাও। সেকারণেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে মনে করছে পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকে যে তিনি চরম পথ বেছে নেবেন তা কল্পনাও করতে পারনেনি শুভ্রার আত্মীয় স্বজনরা।