লাদাখ নিয়ে রাজনাথ এবার ময়দানে! দিল্লির বৈঠকের জল্পনার মধ্যেই পার্বত্য সীমান্তে যুদ্ধবিমান
উত্তেজনার পারদ কিছুতেই নামছে না লাদাখ থেকে। সোমবারের ঘটনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্রমে লাদাখ জুড়ে তৎপরতা চোখে পড়ছে। লাদাখের বিভিন্ন ফরোয়ার্ডিং পয়েন্টে ইন্দো টিবেটান সেনা মোতায়েন করে যাচ্ছে ভারতীয় সেনা। এদিকে, তার মাঝেই দিল্লিতে পরিস্থিতি নিয়ে হাইভোল্টেজ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।

উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আসন্ন
সোমবার রাতে লাদাখে প্রবল গুলি বর্ষণের ঘটনা নিয়ে সমস্ত রকমের তথ্য জামতে চান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে সেনা প্রধান নরভানে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে অবহিত করেন। এরপর দিল্লিতে সাউথ ব্লকে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের খবর উঠে আসছে। যেকোনও মুহূর্তে এই বৈঠক শুরু হতে পারে। মনে করা হচ্ছে, বৈঠকে সিডিএস বিপিন রাওয়াত থেতে প্রতিরক্ষা সচিব সহ অনেকেই উপস্থিত থাকতে পারেন।

উড়ছে যুদ্ধবিমান!
লাদাখে সংঘাতের আবহের পর থেকেই চিন ভারত দুই দেশের আকাশসীমাতেই উড়ছে যুদ্ধবিমান। এদিন দেখা গিয়েছে, চিন সীমান্তে জে ২০ লং রেঞ্জ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে দিয়েছে। অন্যদিকে থেমে নেই ভারতও। এদেশেও মোতায়েন রেখেছে সুখোই ৩০ থেকে মিরাজ ২০০০।

কোথায় কোন অস্ত্র মোতায়েন?
জানা গিয়েছে , চিনের হোতানে যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। সেই তথ্যের দিকে নজর দিতেই ভারত ফ্রন্টিয়ার এয়ারবেসগুলিতে একের পর এক যুদ্ধবিমানকে প্রস্তুত করে রাখছে।

চিনের আগ্রাসন ঠেকাতে গিয়ে..
ভারত এদিন সাফ জানিয়েছে, ফরোয়ার্ড পজিশন নিয়ে ক্রমেই সোমবার রাতের দিকে চিনের সেনা এগিয়ে যেতে থাকে। কার্যত 'অন্ধভাবে' দুই দেশের সমঝোতার রাস্তা স্তব্ধ করে চিন আগ্রাসন দেখাতেই ভারত পাল্টা প্রতিরক্ষা করতে গিয়ে 'ওয়ার্নিং শট' দেয়। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে চিন।

২৯ অগাস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর
২৯ অগাস্ট রাতেই ভারতে র সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ে হামলার চালানোর চেষ্টা করতে থাকে চিন। সেদিন ভারতীয় সেনা পাল্টা হুঙ্কার দিতেই গুটিয়ে যায় লালফৌজ। এরপর আগ্রাসনের ফের চেষ্টা করে চিন । যার তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর। আর তার জবাব ভারত দিতেই , ঘটনাকে 'উস্কানিমূলক' ও 'খারাপ অভ্যাস' বলে দাবি করে ভারতকে দোষারোপ করে বেজিং।

লাদাখে গুলি চলার রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জ্বলে উঠল মশাল! চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে পিওকেতে কী ঘটল