চিনা আগ্রাসন নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের খোঁচা বেজিংকে! মন্ত্রী স্পষ্ট করলেন অবস্থান
চিনা আগ্রাসন নিয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের খোঁচা বেজিংকে! মন্ত্রী স্পষ্ট করলেন অবস্থান
লাদাখ পরিস্থিতি ঘিরে ক্রমাগত একের পর এক খবর আসতে শুরু করেছে। স্যাটেলাইট চিত্রে চিন সীমান্তের ওপারে মিসাইলের আনাগোনা, ও যুদ্ধবিমানের রমরমা ঘিরে ভারতও পাল্টা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এদিকে, লাদাখ পরিস্থিতির জেরে দুই পক্ষের তিক্ত সম্পর্ক ক্রমেই দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ভঙ্গ করছে। এমন এক পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ফের একবার নাম না করে বেজিংকে খোঁচা দিয়েছেন সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে।
শান্তির বার্তা ও জয়শঙ্কর
'দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে' এই শীর্ষক বইয়ের লেখক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সালের পর বহু সময় অন্তর অন্তর চিনের সঙ্গে ভারতের একাদিক হাইপ্রোফাইল চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এ সম্পর্কে তাঁর লেখা বইতে বহু তথ্য রয়েছে। দেশের এককালের রাষ্ট্রদূত জয়শঙ্করের দাবি, শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে দুই পক্ষেরই উচিত চুক্তির নিয়ম মেনে চলা। আর তার হাত ধরেই দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, চিনের সঙ্গে সংঘাত মেটাতে ভারত সেনা ও কূটনীটি দুই তরফেই চেষ্টা করছে।
চিন-ভারত ও জয়শঙ্কর
চিনে বহুকাল ধরেই রাষ্ট্রদূত হিসাবে ছিলেন এস জয় শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন ২ বছরের সময়কাল ধরে এই বইটি তিনি লিখেছেন। সেখানে তিনের উত্থান ও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কিভাবে ভারত উন্নয়নশীল দেশ হয়ে উঠেছে তার ব্যাখ্যা রয়েছে। জয়শঙ্কর জানান, সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস দুয়ের সাপেক্ষে দুটি দেশের সম্পর্ক ধরে রাখা দক্ষিণ এশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দিক।
দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত
ভারতের দোরগোড়ায় চিনের দাপটের সঙ্গে শক্তিশালী হওয়ার ঘটনা তাঁর বইতে তিনি ধরেছেন। প্রতিটি পরতে চিন কিভাবে এগিয়েছে তাও তিনি তুলে ধরেছেন। জয়শঙ্করের দাবি, গ্লোবাল পাওয়ার হাউস হিসাবে চিন কিভাবে নিজের পরিসর বাড়াচ্ছে বা এক্ষেত্রে আমেরিকার গোষ্ঠী কোনদিকে ঝুঁকছে। কোন কোন দেশ কোন স্বার্থে শিবির গড়ছে,তার দিকে তাকিয়ে চিনের উত্থানের দিকে নজর দিতে হবে।
লাদাখ সীমান্ত বিবাদ কোনদিকে?
টহলদারী সীমান্ত নিয়ে বরাবরই ভারত ও চিনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। ভারত বিশ্বাস করে 'ফিঙ্গার ১' থেকে 'ফিঙ্গার ৮' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের এবং চিন মনে করে যে 'ফিঙ্গার ৮' থেকে 'ফিঙ্গার ৪' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদেরই। ১৫ জুন, এই 'ফিঙ্গার ৪' এলাকাতেই উভয় পক্ষের সেনার মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ বাঁধে। 'ফিঙ্গার ৪'-এ এই জন্যেই উল্লেখযোগ্য হারে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছিল চিন, যাতে ভারতীয় সেনারা আর 'ফিঙ্গার ৮' এর দিক দিয়ে টহল দেওয়ার সুযোগ না পায়।
তিব্বত নিয়ে 'দুর্ভেদ্য দেওয়াল' চাইছেন জিনপিং!বৌদ্ধ ভাবনাতে কোন প্রভাব ফেলার বার্তা বিস্তারবাদী চিনের