লাদাখ সংঘাতের মাঝে সেনা পর্যায়ের বৈঠকে চিনকে জোরদার চাপ ভারতের! কোন দাবিতে সরব ভারতীয় সেনা
সপ্তম সেনা পর্যায়ের বৈঠক সোমবার ১২ অক্টোবর সম্পন্ন হয়েছে লাদাখের চুশুল , মলডো এলাকায়। যদিও বৈঠক নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য সরকারি ভাবে জানানো হয়নি, তবে জানা যাচ্ছে অন্যান্য বারের থেকে এই বার ভারতীয় সেনা চিনের ওপর জোরদার চাপ দিতে থাকে ডিএসকালেশন নিয়ে।
বৈঠকে চিনের কূটনীতিবিদ!
এই প্রথমবার ভারত চিন সেনা পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে দেখা গেল চিনের কোনও কূটনীতিবিদকে। এর আগে বৈঠকে ভারতের তরফে এক কূটনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন। দিল্লির সেই পদক্ষেপ দেখার পরই ভারতের লেফ্টন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং ও চিনের দক্ষিণ জিনজিয়াং মিলিটারি চিফ মেজর জেনারেল লিউ লিনেরর বৈঠকে দেখা গেল এক চিনা কূটনীতিবিদের উপস্থিত।
কোন অবস্থানের পক্ষে ভারতের জোরদার সওয়াল?
ভারত এদিন সাফ জানায় , কোনও একটি এলাকা নয়, গোটা পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা সরানোর পক্ষে দিল্লি। জানা গিয়েছে ভারতীয় সেনা চিনের কাছে স্পষ্ট করেছে যে, মে মাসে প্রথম থেকেই আগ্রাসন দেখিয়েছে চিন। ফলে লাদাখ থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে প্রথমে চিনকেই উদ্যোগী হতে হবে।
বৈঠকের ফলাফল
সূত্রের খবর , চিন ভারত বৈঠকে সেভাবে কোনও রফাসূত্র বের হয়নি ডিএসকালেশন নিয়ে। তবে সেনা পর্যায়ের বৈঠক উত্তজনা প্রশমনে সাহায্য করছে বলে দাবি ভারতীয় সেনা সূত্রের। প্রসঙ্গত, প্যানগং, ডিবিও, চুশুল , গোগরা এলাকায় চিনের প্রচুর সেনা মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকে সেনা সরাতেই চিনকে আগে উদ্যোগী হওয়ার বার্তা দিয়েছে ভারত।
দিল্লি থেকে বার্তা সেনাকে
সপ্তম সেনা পর্যায়ের বৈঠকের আগে দিল্লিতে হাইপাওয়ার্ড চায়না গ্রুপের বৈঠক ছিল। যে গ্রুপের অন্যতম নাম জাতীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেখানে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং থেকে সেনা প্রধান নরভানে। আর সেই গ্রুপের বৈঠকেই স্থির হয় যে , চিনকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দেবে ভারত। সেই বার্তা দিল্লি থেকে সেনাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।