লাদাখ সংঘাতের মাঝে চিনকে পিছু হটিয়ে শায়েস্তা করতে ভারতের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি!কোন ছকে ড্রাগন নিধন
বিস্তারবাদের নেশায় মত্ত চিন লাদাখের একাধিক জায়গায় সেনা সরিয়ে নেবে বলেও, তা করেনি বাস্তবে। গোগরা-হট স্প্রিং, প্যানগং এর মতো এলাকায় এখনও মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে চিনের লালফৌজ। আর তাদের এবার উপযুক্ত শিক্ষা দিতে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে ফেলল ভারত। লাদাখের বুকে চিনকে পিছু হটাতে কোন পন্থার আশ্রয় নিচঅছে ভারতীয় সেনা, দেখে নেওয়া যাক।
গ্রিনটপে এখনও বসে লালফৌজ!
পূর্ব লাদাখে ফিঙ্গার ফোরের গ্রিনটপে এখনও বসে রয়েছে লালফৌজ। এই এলাকা প্যানগং এর উত্তর অংশ। অন্যদিকে, ফিঙ্গার ৩, ফিঙ্গার ৮ এও দমন করা যায় এমন অবস্থান নিয়ে মেজাজে বসে রয়েছে চিন। এই সমস্ত জায়গা থেকে লালফৌজকে হটাতে এবার দিল্লি ও সেনা পরিকল্পনা তৈরি করতে শুরু করল।
চিনা আগ্রাসন ও দিল্লি
সেনার তরফে দিল্লিকে জানানো হয়েছে, চিন যেভাবে লাদাখে অবস্থান করছে, তা তাদেরআগ্রাসন। দিল্লি এই অবস্থানকে আগ্রাসনের নাম দিয়ে যেন কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়। আর সেই কথা মতো দিল্লি নিজের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া খানিকটা শুরুও করে দিয়েছে। এর আগে চিনে ভারতীয় রাষ্ট্র দূত বিক্রম মিশরির বৈঠক তারই প্রমাণ।
সচিব পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি
জানা যাচ্ছে, চিন ও ভারতের তরফে সবিচ পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। লালফৌজের মিথ্যার ঝুড়ি আর সহ্য করছে না দিল্লি! মুখে এক কথা বললেও, চিনের সেনা কাজে আরও এক কাণ্ড করছে পূর্ব লাদাখে। আর এবার চিনের মুখের কথা আর কাজেরক থাকে এক করতে ডোভাল নীতিকে ভরসা করে এগোতে চলেছে।
ঠান্ডা মাথায় এগোচ্ছে ভারত
চাইলে সীমান্তে অস্ত্রবলে চিনকে পিছু হটাতে পারে ভারত। তবে তা ঠিক করতে চাইছে না তারা ।কারণ তাতে সংঘাতের রাস্তা বাড়বে, চিন পাল্টা দাবি তুলতে পারে যে ভারত আগ্রাসনের রাস্তায় গিয়েছে। তাই আপাতত কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠক দিল্লির কাছে পাখির চোখ।