সীমান্ত সংঘাত ঠেকাতে ভারত-চিন হাইভোল্টেজ বৈঠক আজ! ভারতের ফোকাসে কী থাকবে
ভারত ও চিনের তরফে দুই সেনার মধ্যে এদিন সীমান্ত সংঘাত ইস্যু সমাধানে এদিন রয়েছে বৈঠক। বৈঠক ঘিরে একাধিক তত্ত্ব উঠতে শুরু করেছে। ভারতের তরফে শান্তি বার্তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে ৪ টি অত্যন্ত সংবেদনশীল সীমান্ত প্রদেশ নিয়ে আপাতত সংঘাত শুরু হয়েছে। আর তাকেই স্থায়ী সমাধানের পথে দুই দেশ।
এর আগে কী ঘটেছে?
এদিন সকাল ৮ টায় লাদাখ সীমান্তে এই বৈঠক চলবে। সীমান্তের মালডো এলাকায় এই বৈঠকে অংশ নেবেন কর্প কমান্ডার স্তরের আধিকারিকরা। সেনা যাতে সরিয়ে নিতে হয় সেদিকে ভারত নজর দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকের আগে কী পরিস্থিতি
টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক, জেড ২০ হেলিকপ্টর সহ জিজে ২ ড্রোন লাদাখ সীমান্তে নিয়ে আসা হয়েছে চিনা সেনার তরফে। এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করে উচ্চতায় ভারতের উপর অ্যাডভান্টেজ থাকবে চিনের। যুদ্ধের পরিস্থিতি উপনীত হলে নিঃসন্দেহে চিনকে সাহায্য করবে এই সরঞ্জামগুলি। পাশাপাশি কয়েকদিন আগেই লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উড়তে দেখা গিয়েছিল চিনা হেলিকপ্টার। আর এখন চিনের দিকে যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গিয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর।
ভারত চিন সম্পর্ক
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে দুই দেশের তরফেই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বর্তমানে এলএসি এলাকায় সেনার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সূত্রের খবর, লাদাখের কাছে এলএসি-তে জওয়ানদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। গালওয়ান নালা এলাকায় শেষ দু'সপ্তাহে তারা ১০০টি টেন্ট তৈরি করেছে। এরই মাঝে লাদাখের দূরবুক গ্রামের মানুষরা বলছেন, প্রতি রাতে ভারতীয় সেনার প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি ট্রাক-গাড়ি তারা চিনা সীমান্তে যেতে দেখেছে।
এর আগে কী ঘটেছে?
লাদাখের চিন সীমান্তে যে দিল্লি একরোখা হয়ে রয়েছে তা ভালোই আঁচ পয়েছে চিন। শেষে বুধবার রাতের দিকে ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিনের সেনা। সেই মতো একই পরিমাণ দূরত্ব পিছিয়ে গিয়ে অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় সেনাও। ফলে পরিস্থিতি আপাতত সুস্থির সেখানে।