লাদাখে বরফ জমতেই চিনের লালফৌজের ক্যাম্পে অসুস্থতা বাড়ছে! শীতের আগেই কতটা কাবু বেজিং
আগ্রাসন চিনের দিক থেকেই এসেছিল । আর সেই চিনকে লাদাখের মাটি ছাড়ার হুঙ্কার ভারত দিতেই, তারা নাছোড়রবান্দা হয়ে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে লাদাখে। এমন পরিস্থিতিতে শীতকালেও যে সংঘাত চলবে , তা বলাই বাহুল্য! এদিকে, শীতে লাদাখের তাপমাত্রা মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকে। তার আগেই সেখানের আবহাওয়ায় কার্যত কাবু চিন সেনা শিবির।
লাদাখে কী দেখা যাচ্ছে?
লাদাখের বুক জুড়ে চিনের দিক থেকে প্রায় ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। ভারতকে টার্গেট করে এই সেনা মোতায়েনের পর , এবার চিনের সেনা ক্যাম্পে একের পর এক জওয়ান অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, সীমন্তে ঠান্ডায় মোতায়েন বহু চিন সেনার জওয়ানকে মেডিক্যাল সাহায্য দিতে হচ্ছে।
শীত আসতেই কাবু চিন!
শীতকালীন সংঘাত লাদাখে এখনও অনেকদিনই চলবে বলে খবর। এদিকে, শীতের যুদ্ধে কোনও রকমের অভিজ্ঞতা সেভাবে নেই চিনের। একাজে পাকিস্তানের সেনা গিয়ে চিনের সেনাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়। তবে শীতে লাদাখের তাপমাত্রা বরফাঙ্কে পৌঁছতেই একের পর এক লালফৌজ জওয়ান অসুস্থতায় ভুগছেন বলে খবর।
জেদে অনড় চিন
বিনা যুদ্ধে কেবল আবহাওয়ার দাপটেই চিন শিবিরে অসুস্থতা শুরু হয়েছে। এদিকে, বেজিং নিজের চেনা দাপটের জায়গা ছাড়তে রাজি নয়। চিন আবাহও জানিয়েছে, লাদাখকে তারা ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে মনে করে না। পাশাপাশি অরুণাচল সীমান্তে ভারতের ব্রিজ তৈরি ঘিরেও চিন বিরোধীতা করে যাচ্ছে সমান তালে।
ব্যাকফুটে চিন
গত ১৫ জুন হোক বা ২৯ অগাস্টের রাত, লাদাখের বুকে চিন যখনই আগ্রাসন দেখিয়েছে ভারত তার জোর জবাব দিয়েছে। বারবার চিনের সেনাকে ব্যাকফুটে রেখে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। প্রতিবারই চিনকে গুটিয়ে যেতে বাধ্য করেছে ভারত। আর এবার শীত আসার আেগই কাবু চিনের সেনা ফৌজ জওয়ানরা। ফলে আগামী দিনে লাদাখ নিয়ে চিন কোন সুরে কথা বলে, সেদিকে তাকিয়ে দিল্লি।