কমছে না সীমান্ত উত্তাপ! প্যাংগং, দেসপাং থেকে লালফৌজের পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার চাইছে ভারতীয় সেনা
কমছে না সীমান্ত উত্তাপ! প্যাংগং, দেসপাং থেকে লালফৌজের পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার চাইছে ভারতীয় সেনা
ম্যারাথন সামরিক বৈঠকে খানিক আশার আলো দেখা গেলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে খানিক উল্টো ছবিই ধরা পড়ছে। পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে চতুর্থ দফার সেনা পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয় । শেষ হয় বুধবার রাত ২টো নাগাদ। এই বৈঠকের ভারতের তরফে প্যাংগং লেক ও দেসপাং এলাকায় চিনা সেনার পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
পূর্ব লাদাখে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে উদাসীন চিন
সূত্রের খবর, টানা ১৪ ঘণ্টার বৈঠকের পরও পূর্ব লাদাখে ফিঙ্গার এলাকা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে সেনা সরানো নিয়ে উদাসীন চিন। বর্তমানে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে চিনা সেনা সরে গেলেও এখনও পর্যন্ত সীমান্ত উত্তাপ পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। কারণ প্যাংগং লেক এলাকার উত্তর পাড়ে চার থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট পর্যন্ত ভারতীয় সেনার নো-এন্ট্রি করে রেখেছে পিএলএ।
চলতি সপ্তাহেই লাদাখ সফরে রাজনাথ সিং
এদিকে ১৪ কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং এবং দক্ষিণ জিনজিয়াং সামরিক জেলা প্রধান মেজর জেনারেল লিউ লিনের মধ্যে সর্বশেষ বৈঠক চলতি সপ্তাহের এই সামরিক বৈঠক যথেষ্ট ফলপ্রসূ হয় বলে আগেই খবর মিলেছিল। কিন্তু তারপরেও চিনের উদাসীনতা ভারতে যথেষ্ট ভাবাচ্ছে। এদিকে এমতাবস্থায় আগামী ১৭-১৮ জুলাই লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। অনেক আগেই তাঁর এই পরিকল্পনা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ কিছু কারণের জন্য পরে তা বাতিল হয় বলে খবর।
প্যাংগং, দেসপাং এখনও কমেনি চিনা আগ্রাসন
এদিকে গত দশ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চিনা সেনা বাহিনী পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ১৫৯৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রীতিমত আগ্রাসী ভূমিকা নিচ্ছিল। তবে এখন সেই এলাকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও প্যাংগং লেক এলাকার উত্তর পাড়ে চার থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট পর্যন্ত ভারতীয় সেনার নো-এন্ট্রি করে রেখেছে পিএলএ। দেপসাং এলাকাতেও চিনা সেনারা এখনও পর্যন্ত খুব কাছাকাছি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগের থেকে তাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমলেও এখনও সম্পূর্ণ চিনা দখলদারি থেকে মুক্ত হয়নি ওই এলাকা। উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
সীমান্ত সমস্যার দ্রুত নিষ্পত্তি যে সম্ভব নয় তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল
এদিকে গত গত ৩০ জুনের সামরিক বৈঠকের শর্ত মেনে গালওয়ান উপত্যকার ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট, গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকা থেকে ১ কিলোমিটারেরও বেশি পিছিয়েছে ভারতীয় সেনা। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা চিনের সঙ্গে সীমান্ত-সমস্যার দ্রুত সমাধান যে হওয়ার নয়, তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। লাদাখে প্যাংগং লেকের ধারে আটটি পরপর সরু সরু অঞ্চল রয়েছে। এইগুলিই ফিঙ্গার নামে পরিচিত। এখানেই আগে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ায় দুদেশের সেনা। বর্তমানে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় সেনা এই সমস্ত এলাকা থেকেই চিনের সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার দাবি করছে।
অযোধ্যা নিয়ে মন্তব্যের পর টলছে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর গদি! হিন্দুত্ববাদী থেকে কংগ্রেসের ক্ষোভ